।। প্রথম কলকাতা ।।
পাকিস্তান আর্মি পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে?
২০১৪ সালে যে পাপ করেছিল এখন তার ফল ৩ কাঁটায় জেরবার হয়ে পালাবার পথ পাচ্ছেন না জওয়ানরা। কেন বারবার পাক সেনাকেই টার্গেচ করে হামলা হচ্ছে? ভারতের দরকার নেই পাকিস্তানই শেষ করবে পাক আর্মিকে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেদের বাঁচাবে না পাকিস্তানকে রক্ষা করবে? পায়ের ওপর পা তুলে শাসন করার দিন বোধহয় শেষ এবার। কারণ ৩ কাঁটায় গলা পর্যন্ত বিঁধে রয়ে ইসলামাবাদের সেনা। যা বের করা মুশকিল ই নয় না মুমকিন বলছেন বিশেষজ্ঞ। অবশ্য এক্ষেত্রে পাকিস্তানীদের একাংশের মত অনেক তো হল অত্যাচার, স্বৈরাচারীতা এবার এসব শেষ হওয়ার পালা। পাকিস্তানের মানুষই বলবে আসলে শেষ কথা। একের পর এক জঙ্গি হামলা হচ্ছে কিন্তু ঠেকাতে পারছে না আর্মি।
অনেকে মনে করছেন পাকিস্তানের সেনা এই মুহূর্তে যে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে ২০১৪ সালের পর থেকে সেই অবস্থা আর কখনও হয়নি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থান থেকে ২০১৪ সালে নতুন একটি অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের সেনা। সেখানেই লুকিয়ে আছে ‘কাঁটা’। কারণ, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে পাল্টা পাটকেল ধেয়ে আসছে তাদের দিকেও। এমন কি করেছিল পাকিস্তান আর্মি ২০১৪ সালে? একটা কথা জেনে রাখুন ইমরান খান জেলে যাওয়ার পরই কিন্তু পাকিস্তান আর্মির কার্যত দুর্দশা শুরু হয়ে গিয়েছে।
গোটা বিষয়টা বললে বুঝতে পারবেন দুটোর কী লিঙ্ক রয়েছে ২০১৪ সালে পাকিস্তানের সেনা সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যে অভিযান ঘোষণা করেছিল
তার নাম জ়ারব্-ই-আজ়ব জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে এটিই ছিল। পাক সেনার সব থেকে বড় অভিযান। এবার তারই পাল্টা পরিণতিতে ভুগছে সেনা। গত কয়েকমাসই দেখে নিন না পাক সেনার উপর পর পর কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে গেছে। গত সপ্তাহেই গোয়াদরে পাক সেনার একটি কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মোট ১৪ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয় সেই হামলায়। সেনার কনভয়টি বালুচিস্তানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। এরপরই পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মিয়ানওয়ালিতে পাক বায়ুসেনার ঘাঁটিতেও জঙ্গি অ্যাটাক। আর ৩ কাঁটার অন্যতমই হল এই জঙ্গি হামলা।
যা নিস্তার পাওয়ার পর সেনা বল এখন ইসলামাবাদের আছে নাকি তা বেশ সন্দেহের। ইমরান খান ও তাঁর গ্রেফতারি দেশের সাধারণ মানুষ ভাল চোখে দেখেননি। পাকিস্তানের সেনা ইমরান সাপোর্টারদেরকে দমাতে চাইছে কিন্তু এর একটা আউটবার্স্ট যে হবেই তা অনেকেই বলছেন হেফাজতে থাকাকালীন পাক সেনার বিরুদ্ধে ইমরান শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ কোনওকিছুই গোপন করার মতো নয়। তাই পাক সেনার কুকীর্তীও ছড়িয়ে পড়েছে তাদের দেশের আনাচে কানাচে। ৩য় কাঁটা বলতে পারেন বালুচিস্তান। বালুচিস্তান প্রদেশে বাড়তে থাকা সমস্যা পাক বাহিনীকে ভাবাচ্ছে। ওই এলাকায় সেনা-বিরোধী বিদ্রোহ দমন করা বাহিনীর সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বালুচিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে পাক সেনার যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ২০২২ সালে তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এর পর থেকেই সেনার উপর হামলার পরিমাণ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি পাক আর্মিকে যদি ধ্বংস না হতে হয় তাহলে স্ট্রাটেজি বদলাতে হবে নয়ত তাদের টিকে থাকা মুশকিল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম