।। প্রথম কলকাতা ।।
Toothache: দাঁত থাকতে দাঁতের কদর বোঝে না অনেকেই। বয়স বাড়লে দাঁতের সমস্যা তাঁদের চেপে ধরে। দাঁতের যন্ত্রণা যে কতটা কষ্টের তা যার হয় সেই বোঝে। দাঁত ও মুখের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তাই নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। রোজ রাতে শুয়ে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা দরকার। এই অভ্যাসের উপকারিতা অনেক। না হলেই জিভে ঘা, দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকা খাবার থেকে ক্যাভিটি, মাড়িতে সংক্রমণ নানা কিছুই হতে পারে। মুখ ও দাঁত ঠিক রাখতে বিশেষজ্ঞরা কি পরামর্শ দিচ্ছেন চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।
এখন দাঁতের সমস্যা ঘরে ঘরে। বয়স্করা শুধু নয়, দাঁতের সমস্যায় এখন জেরবার ছোটরাও। কখনও দাঁতের গোড়ায় খাবার জমে ব্যথা হচ্ছে, আবার কখনও রাতবিরেতে টনটনিয়ে উঠছে মাড়ি। মনে রাখবেন, ঠিকমতো ব্রাশ না করলে দাঁতের কোণায় খাবার জমতে জমতে তা শক্ত পাথরের মতো হয়ে যায়। তখন সেখানে জীবাণুরা বাসা বাঁধে। দাঁত ভাল আছে কিনা, ক্যাভিটি হচ্ছে কিনা, মাড়ির স্বাস্থ্য কেমন, আক্কেল দাঁত গজাচ্ছে কিনা, সবকিছুই চেকআপ করিয়ে নেওয়া জরুরি।
প্রতি ৬ মাসে অন্তত একবার ওরাল হেলথের চেকআপ করিয়ে নেওয়া দরকার। দিনে দু’বার ব্রাশ করতেই হবে। বিশেষ করে রাতে শুতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা মাস্ট। মুখের ভেতর জ্বালা, দাঁতে ব্যথা, জিভে ফুসকুড়ি হলে ফেলে রাখা ঠিক নয়। তাড়াতাড়ি চেকআপ করিয়ে নেওয়া জরুরি। সাধারণত নরম ব্রাশ ব্যবহার করাই উচিত। ভাল ব্র্যান্ডের ব্রাশ কিনুন। দরকার হলে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দাঁত মাজার জন্য আমরা নানারকম টুথপেস্টই কিনি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, দাঁতের ধরন অনুযায়ী টুথপেস্ট কেনা দরকার। মাড়িতে সমস্যা, ব্যথা থাকলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল টুথপেস্ট কিনতে হবে। গাম কেয়ার বা অ্যান্টি-জিনজিভাইটিস লেখা দাঁতের মাজন কিনবেন। দাঁতে ব্যথা, মুখে দুর্গন্ধ থাকলে সোডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
হুড়োহুড়ি করে দাঁত মাজলে হবে না। ওপরের ও নীচের পাটির দাঁত এবং মাড়িতে ভাল করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্রাশ করতে হবে। ‘সার্কুলার মোশন’-এ ব্রাশ করা উচিত। অন্তত ২-৫ মিনিট টানা ব্রাশ করুন। আমরা যখন খাই তখন খাবারের ছোট ছোট কণা দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকে। তাই দিনে একবার অন্তত ‘ডেন্টাল ফ্লস’ ব্যবহার করা চেষ্টা করতে হবে। ভাল ব্র্যান্ডের ফ্লস কিনতে হবে। ভাল মানের মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ যাতে ক্লোরোহেক্সাডাইন আছে এমন দেখে কিনুন। দিনে একবার খাবার জলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখ কুলি করে নিন।
এতে মুখে খারাপ ব্যাকটেরিয়া জমতে পারবে না, দাঁত ও মাড়ি ভাল থাকবে। বাচ্চাদের ভাল করে ব্রাশ করানো দরকার। বাচ্চাদের মুখের মাড়ি, জিভ, ঠোঁট এমনকী গালের ভিতরে এক ধরনের ফাঙ্গাস জন্মায়। এই ছত্রাকের সংক্রমণ হলে তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তাই বাচ্চাদের মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেই হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম