।। প্রথম কলকাতা ।।
Working Women: একদিকে সংসারের হাজারো দায়িত্ব, অপরদিকে যদি বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে তো কথাই নেই। নারীদের রীতিমত দশভূজার মতো সব কাজ সামলাতে হয়। সেখানে চাকরি করা কিংবা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন পূরণ করা একটু চাপের। কিন্তু তা বলে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেওয়া বড় ভুল। অনেক পরিশ্রমের পর ডিগ্রি অর্জন করেও যখন কোন ব্যক্তি বাড়িতে বেকার হয়ে বসে থাকেন তখন তার মানসিক অবস্থাতে যে কেমন হয় তা তিনিই জানেন। এমন কিছু কাজ রয়েছে যা সংসারের কাজ সামলানোর পাশাপাশি সহজেই করা যায়। সেক্ষেত্রে উপরি পাওনা হিসেবে ইনকামের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের রমরমা। বিয়ের পর যতই নানান পরিস্থিতি সামনে আসুক না কেন সেগুলি সামলে এই কাজগুলি সহজেই করতে পারেন।
(১) যদি মাল্টিমিডিয়ার কাজ জানা থাকে তাহলে একটা ল্যাপটপ থাকলেই যথেষ্ট। বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। বাড়ির কাজ সামলে নিজের সময় অনুযায়ী সেই কাজ অনায়াসে করা যায়। বহু সংস্থা আছে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করে। যদি গ্রাফিক ডিজাইন, অ্যানিমেশনের কাজ জানা থাকে আরও ভালো। এছাড়াও বর্তমানে কন্টেন রাইটারের জব বেশ জনপ্রিয়। আপনার যদি লেখার দক্ষতা থাকে তাহলে এই পদের জন্য আবেদন করতে পারেন।
(২) সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ঘরের কোণে পৌঁছে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বর্তমানে বহু মহিলা রয়েছেন যারা শুধুমাত্র ভিডিও আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। কেউ বা রান্নার ভিডিও আপলোড করছেন, আবার কেউ হাতের সুন্দর কাজ। অনেকে আছেন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোশাক থেকে গয়না নানান জিনিস বিক্রির ব্যবসা করছেন। এই কাজ বাড়িতে বসেই করা যায়। শুধুমাত্র অর্ডার অনুযায়ী গ্রাহকের বাড়িতে সেই জিনিসটি পৌঁছে দিতে হবে। তার জন্য প্রথম দিকে আলাদা করে কয়েকজন লোক রাখতে হবে।
(৩) অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনেকেই আছেন যাদের রান্নার হাত খুব ভালো এবং রান্না করতে খুব ভালবাসেন। প্রথম প্রথম অল্প পরিমাণে রান্না করলেন কিংবা অর্ডার অনুযায়ী রান্না করলেন। তারপর খাবারের চাহিদা বাড়লে ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়াতে শুরু করবেন। এই কাজে সাহায্য করতে পারে বিভিন্ন ডেলিভারি অ্যাপ।
(৪) মূলত এই ব্যবসাগুলির ক্ষেত্রে সেভাবে কোন ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না। যদি জিরো ইনভেস্টমেন্টে (Zero Investment) নিজের ব্যবসা করতে চান তাহলে গৃহ শিক্ষক (Home Tutor) হতে পারেন। করোনা মহামারীর পর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পড়ানোর জনপ্রিয়তা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পড়ানোর শখ থাকে কিংবা টিচার্স ট্রেনিং এর উপর কোন ডিগ্রি থাকে তাহলে এই পেশাকে বেছে নিতে পারেন। পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন হবে আবার যাতায়াতের জন্য সময়ও অপচয় হবে না।
(৫) বাড়িতে হোম মেড জুয়েলারির ব্যবসা (Home Made Jewellery Business) শুরু করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে বাজার থেকে র মেটেরিয়াল কিনে আনতে হবে। তারপর গ্রাহকদের অর্ডার অনুযায়ী কিংবা নিজের মন পছন্দের গয়না বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে অক্সিডাইস, পুঁতি আর সুতোর জুয়েলারির ব্যাপক চাহিদা। একবার যদি আপনার হাতের কাজ গ্রাহকদের পছন্দ হয় তাহলে ব্যাবসার ভাঁড়ার ফুলে ফেঁপে উঠবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম