।। প্রথম কলকাতা ।।
Bollywood: ছোটবেলায় স্কুলের ফি, খাবারের জন্য সামান্য টাকাও ছিল না। ব্যাঙ্কে মজুত ছিল মাত্র ১৮ টাকা, দিন কাটত জল বিস্কুট খেয়ে। প্রডিউসার-পরিচালকদের দরজায় গিয়ে গিয়ে খেয়েছিলেন ঠোকর। আজ সেই রাজকুমারই বলিউডের সেরা তারকাদের অন্যতম। পর্দার শ্রীকান্তর এই গল্প জানতেন? আজ ৪০ কোটির বিলাসবহুল বাড়ির মালিক তিনি। এক একটি সিনেমার জন্য মোটা পারিশ্রমিক নেন রাজকুমার।
বলিউডে এসে ভাগ্য বদলেছে অনেকেরই। তারমধ্যে একটা নাম হল রাজকুমার রাও। একের পর এক ভিন্ন স্বাদের ছবি করে জায়গা করে নিয়েছেন ভক্তদের মনে। বাণিজ্যিক মশলা মুভি থেকে শুরু করে অটো বায়োগ্রাফি, সবেতেই রাজকুমারের জুড়ি মেলা ভার। আর সেই কারণেই বোধহয় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছেন তিনি। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না যে, শতাব্দী এক্সপ্রেসকেও ছাপিয়ে যাওয়া এই রাজকুমারের জীবনেও রয়েছে এক বিরাট লড়াই। যে লড়াইটা তিনি করেছিলেন জীবনের প্রথম ইনিংসে। শোনা যায় একটা সময় এমনও ছিল যখন স্কুলের বেতন দেওয়ার মত টাকাও ছিলনা তার হাতে। তবে মেধাবী ছিলেন, আর সেই কারণেই শিক্ষকরাই তুলে নিয়েছিল তার পড়াশোনার ভার।
তবে এত অভাব অনটনের মাঝেও নিজের চাহিদাটা ঠিকই বুঝতেন রাজকুমার। অল্প বয়স থেকেই জানতেন তিনি অভিনেতাই হতে চান। আর সেই খিদে থেকেই রোজ ৭০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিতেন দিল্লি। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এতটা পথও সাইকেল করা যায়? আর কিসের কারণেই বা এতটা পথ সাইকেল করতেন রাজকুমার?তাহলে বলি, মনে খিদে থাকলে সবই সম্ভব। আর সেটাই করে দেখিয়েছেন রাজকুমার। আসলে এই পথটা তিনি পাড়ি দিতেন নিজেকে তৈরি করতে। এতটা পথ তিনি পাড়ি দিয়ে যেতেন থিয়েটার করার জন্য। অভিনয়ের ভিতটা সেখানেই তৈরি হয়ে যায়।
এরপর মুম্বাইতে পা রাখার পর শুরু হয় আরেক লড়াই। রাজকুমারের মুখ থেকেই শোনা যায়, তিনি যখন মুম্বাই এসেছিলেন তখন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে ছিল মাত্র ১৮ টাকা। হ্যাঁ, মাত্র ১৮ টাকা সম্বল করে মায়ানগরীতে এসেছিলেন তিনি। এটা তো জানেনই যে মুম্বাই মানেই টাকার খেলা। সেখানে কেবল ভাত আর রুটি খেয়ে দিন গুজরান করতেও ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরকার পড়ে। সেখানে রাজকুমারের ভাঁড়ার ছিল শূন্য। একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিস্কুট আর জল খেয়ে দিন কাটাতেন অভিনেতা। তার দুপুরের খাবারে থাকত পার্লেজি আর ফ্রুটি। বলিউডে কাজ খুঁজতে এসেও ক্রমাগত ঠোকর খেয়েছেন অভিনেতা।
তবে কথাতেই আছে চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়। সেই প্রবাদ মেনেই বদলেছে রাজকুমারের জীবনও। অভিনেতার জীবনেও অন্ধকার কেটে আলো এসেছে। শক্ত করেছেন নিজের পায়ের তলার জমি। ধীরে ধীরে বি টাউনের অন্যতম সেরা অভিনেতা হয়ে উঠেছেন তিনি। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মাত্র একটি ছবি করার জন্য ৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। ভাড়া বাড়িতে কেরিয়ার শুরু করা সেই রাজকুমার আজ ৪৪ কোটির এক বিলাসবহুল বাড়ির মালিক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম