৷৷প্রথম কলকাতা৷৷
Artificial Sun: একদিন নিভে যাবে সূর্য৷ ব্যাকআপ পরিকল্পনা এখন থেকে করে রেখেছে বিশ্ব৷ সূর্যের আয়ু আর কত বছর জানা গিয়েছে৷ সূর্যের আগুন নিভলে ধ্বংস হয়ে যাবে নাকি এই গ্রহ? কেন সূর্যকে আগুনের গোলা বলে? এই আগুনও কি নিভে যাবে একদিন? পৃথিবীকে, বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলোকে ভেবে রাখতে হয়েছে এখন থেকেই সেই দিনটার কথা৷ সূর্য ক্ষমতা হারালে বরফে ঢেকে যাবে পৃথিবী৷ গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলো আর জানবে না গরমকাল কী হয়? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিপর্যয় থেকে বাঁচার উপায় যদি মানুষ খুঁজতে না পারে তাহলে বলতে হয় এখনও মানবসভ্যতার অনেক উন্নতি হওয়া বাকি রয়েছে৷
২০০ বছর সামনের ভবিষ্যৎ এবার শক্তিধর দেশগুলোর হাতেই৷ মানুষ তৈরি করে ফেলল সূর্যের এক আজব বিকল্প৷ সূর্যের বিকল্প? এমনটাও কি সম্ভব নাকি? তথ্য বলছে সম্ভব৷ গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট বলছে, এই কাজটা অতি দক্ষতার(ও দুরদর্শিতার) সঙ্গে করে ফেলেছে চিন৷ বেজিং তৈরি করে ফেলেছে ‘আইটিআইআর নিউক্লিয়ার ফিউশন রিয়াকটর’৷ এটাকেই তারা বলছেন আগামী দিনের সূর্য, দ্বিতীয় সূর্য৷ তবে এতে নেই প্রকৃতির কোনও ছোঁয়া৷ সবথেকে বড় কথা চিন একা এই কাজ করছে না৷ ৩৫ টি দেশ মিলে এই কৃত্রিম সূর্য তৈরীর কাজ করছে ফ্রান্সে৷ সেই দেশগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চিন, ভারত, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া৷ এই কৃত্রিম সূর্যের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর’৷ বিশেষজ্ঞা বলছেন, এটি হতে চলেছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কৃত্রিম সূর্য। আর চিনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আইটিইআর এর একটি প্রধান উপাদান তৈরি করে ফেলেছে তারা
এবার একটু গভীরে ঢোকা যাক৷ কেন সূর্যের বিকল্প বলে দাবি করা হচ্ছে এই মেশিনকে৷ এমন কি করতে পারবে এই মেশিন৷ একে এমন কোন জায়গায় রাখার প্ল্যান রয়েছে যেখান থেকে বিশ্ব আলো পাবে, শক্তি পাবে৷ ২০১৩ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মহাকাশে পাঠিয়েছিল ‘গাইয়া’ নামক একটি মহাকাশযান৷ গাইয়া-র দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন সূর্যের আয়ু আর কতদিন৷ তথ্য বলছে একটা সময় এমন আসবে পুরোপুরি নিভে যাবে সূর্য৷ আইটিইআর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলো আশা করছে, সূর্য যেভাবে শক্তি উৎপন্ন করে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কৃত্রিম সূর্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হবে
জানেন এই প্রকল্পের খরচ কত? কোন দেশ কত টাকা লাগাচ্ছে? মূলত নিউক্লিয়ার ফিউশন ব্যবহার করে কাজ চলছে৷ নিউক্লিয় বিক্রিয়া ঘটিয়ে একাধিক হালকা নিউক্লিয়ায় সংযোজন করে অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াস গঠিত করা হচ্ছে৷ ইউরোপের দেশ গুলি এই কৃত্রিম সূর্য তৈরীর খরচের প্রায় ৪৫% বহন করছে। অন্যদিকে, এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত অন্যান্য দেশগুলি বহন করছে ৯% করে ব্যয়ভার৷ তবে এখনও শেষ হয়ে যায়নি কৃত্রিম সূর্য তৈরির কাজ৷ যেদিন হবে সেদিন বোধহয় অষ্টম আশ্চর্য তৈরি হবে বিশ্বে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম