।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: প্রতি বছর ২৬ মার্চ পালিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) ও জাতীয় দিবস। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই বছর বাংলাদেশের জনগণ তাদের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এই দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন। শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মবলিদানের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, যা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় পাকিস্তান ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। অতঃপর যে এলাকাটি এখন বাংলাদেশ, তাকে পূর্ব বাংলা এবং তারপর পূর্ব পাকিস্তান বলা হত।
কুচকাওয়াজ, বক্তৃতা এবং অন্যান্য উদযাপনের মাধ্যমে স্বাধীনতার এই দিনটিকে পালন করা হয়। বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে এদিন পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।