।। প্রথম কলকাতা ।।
One Year Of Russia-Ukraine War: ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিনেই সেই ভয়াবহ যুদ্ধের সূত্রপাত। রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) বিগত বছরে এই দিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন লঞ্চ করেছিলেন। আর প্রেসিডেন্টের সেই ঘোষনার পরেই রুশ সেনা ইউক্রেনের উপর আকাশ পথে হামলা করে। আজ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine-Russia War) এক বছর পূর্ণ হল। দুটো দেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত লড়াই চলছে। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং মৃত্যুর খবর। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ জয় লাভ করেনি।
যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল এই লড়াইয়ে রাশিয়ার জয় নিশ্চিত। খুব অল্প দিনের মধ্যেই রাশিয়া হারিয়ে দিতে পারবে ইউক্রেনকে। কারণ ইউক্রেনের সৈন ও অস্ত্র শক্তি রাশিয়ার তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু তারপরেও রুশসেনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এই যুদ্ধে বিগত এক বছর ধরে ইউক্রেন সাহায্য পেয়ে আসছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ,জার্মানি, পোল্যান্ডের মতো দেশগুলির কাছ থেকে। হাতিয়ার সহ ইউক্রেনের সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই দেশগুলি। অন্যদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণায় রাশিয়ার সঙ্গ দিচ্ছে বেলারুশ। এছাড়াও আমেরিকার দাবি, এই যুদ্ধে চীন রাশিয়াকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে সৈন্য এবং হাতিয়ার দিয়ে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে দুই পক্ষেরই বহু সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত সৈনিকের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। যদিও এর সরকারি কোন হিসেব নেই। কিন্তু পশ্চিমী দেশগুলি মনে করে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি রুশ সৈনিক মারা গিয়েছে। একই রকম ভাবে, এই যুদ্ধে ইউক্রেনের মৃত এবং জখম সৈনিকের সংখ্যা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি বলে দাবি করা হয়।
কোন কারণকে কেন্দ্র করে এখনও যুদ্ধ চলছে ইউক্রেন- রাশিয়ার ?
ন্যাটো (NATO) দেশগুলির জোটে শামিল হতে চায় ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়া তার কড়া বিরোধিতা করে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন ন্যাটোতে সামিল হলে আমেরিকা , ব্রিটেন সমেত পশ্চিমী দেশগুলির সৈন্য রুশ সীমান্ত পর্যন্ত এসে পৌঁছবে। যা তাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে । শর্ত অনুসারে ন্যাটো জোটের কোন দেশের উপর যখন হামলা চলে তখন বাকি সদস্য দেশগুলোকেও এক জোট হয়ে লড়াই করতে হয়। ইউক্রেন ন্যাটো জোটে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত পরিত্যাগ করুক। এই উদ্দেশ্য নিয়ে রুশ হামলা চালায় তার ওপরে ।
ভারত কি সঙ্গ দিচ্ছে রাশিয়া বা ইউক্রেনের?
এক বছর ধরে যে যুদ্ধ ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলে আসছে সেখানে বেশ কয়েকটি দেশ খোলাখুলি সহযোগিতা করছে ইউক্রেনকে। রাশিয়াও সাহায্য পেয়েছে বেলারুশের কাছ থেকে । এইমতো পরিস্থিতিতে ভারতের তরফ থেকে কখনই দুই দেশের মধ্যে কোন একটিকেও সরাসরি সমর্থন করা হয়নি। বরং ভারতের তরফ থেকে লাগাতার বলা হয়েছে, এই যুগ যুদ্ধের যুগ নয়। দুটো দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা জরুরী। যে বিষয়টি নিয়ে বিবাদ তা আভ্যন্তরীণ আলোচনার মাধ্যমেও মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম