।। প্রথম কলকাতা ।।
Young India Ke Bol: ৩১শে মার্চ সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আসামের গুয়াহাটির রাজীব ভবনে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া কে বোল সিজন ৩’ (Young India ke Bol Season 3) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি মূলত সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় স্তরের মুখপাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বক্তৃতা প্রতিযোগিতা।
‘ইয়ং ইন্ডিয়া কে বোল’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে, ভারতীয় যুব কংগ্রেস মুখপাত্র পদের জন্য তরুণদের কাছ থেকে অনলাইন এবং অফলাইন আবেদন আমন্ত্রণ জানায়। এরপর বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং নম্বরের ভিত্তিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যম হবে হিন্দি, ইংরেজি, আঞ্চলিক ও স্থানীয় ভাষায়। ‘ইয়ং ইন্ডিয়া কে বোল’ সিজন-৩-এর জন্য অনলাইন আবেদনগুলি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নেওয়া হবে। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকরা আবেদন করতে পারবেন। এর পরে অংশগ্রহণকারীদের জেলা এবং রাজ্যস্তর পর্যন্ত পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত করা হবে। জুনের শেষে দিল্লিতে হবে ফাইনাল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার জন্য কোন আবেদন ফি নেই।
কংগ্রেস দল দেশের তরুণদের প্রতিটি স্তরে সুযোগ দিচ্ছে। ‘ইয়ং ইন্ডিয়া কে বোল’-এর মাধ্যমে দেশের তরুণ কণ্ঠ একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম পাবেন, যার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কথা বলতে পারবেন। ৩১শে মার্চ গুয়াহাটি রাজীব ভবনে আয়োজিত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন আসাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা, অসম বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা শ্রী দেবব্রত সাইকিয়া, উপবিরোধী দলনেতা রাকিবুল হোসেন, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস বিধায়ক ও কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র জিতু পাটোয়ারী, বিধায়ক রেকিবুদ্দিন আহমেদ, যুব কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র মৌমিতা কালী, যুব কংগ্রেসের রাষ্ট্রীয় সচিব আজাজ চৌধুরী, জাকির হুসেন সিকদার, সুবাহন আলী সরকার সহ অনেকে।
যুব কংগ্রেসের রাষ্ট্রীয় সচিব আজাজ চৌধুরী এই দিন বলেন, “আজকের যুব সমাজের স্বৈরাচার, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সরকারের উত্তরোত্তর ব্যর্থ প্রতিশ্রুতি, বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে মতামত জানানোর সময় হয়েছে। যা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আরো সহযোগিতা করবে। যুব কংগ্রেস দেশের মানুষের কাছে এই সুযোগ এনে দিয়েছেন। তাদের সঠিক পথ দেখানো আমাদের কর্তব্য”।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত মৌমিতা কালী বলেন, “বিগত ৯ বছর ধরে দেশের মানুষ বহুবার মন কি বাত শুনেছেন। এখন দেশ জুড়ে চলতে থাকা দুর্নীতি, বেকারত্ব, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, নারী নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার সময়। এটাই যুব সমাজের গলা ছেড়ে নিজের মতামত প্রকাশের উপযুক্ত সময়। তাদের এই সুযোগ দিচ্ছেন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস। আমরা আশা করি, মানুষ আমাদের ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেবেন”।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম