।। প্রথম কলকাতা ।।
Hero Alom: বিশ্বাস ছিল যে জিতে যাবেন, কিন্তু তেমনটা হলো না। চেয়েছিলেন ইতিহাস গড়তে, কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। এমনিতে প্রায় সময়ই নানা কারণে সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে ওঠেন। কখনও কাজের কারণে সমালোচিত হন, তো কখনও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন চর্চার কারণ হয়ে ওঠে। এমন এমন কাজ করেন যে লোকের মসকরার পাত্র হয়ে ওঠেন। বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে বাংলাদেশের (Bangladesh) উপনির্বাচনে বহুল চর্চিত প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম ওরফে আশরাফুল হোসেন (Hero Alom)। কিন্তু বগুড়া-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন তিনি। আর এদিকে বগুড়া-৬ আসনে জামানত হারাতে যাচ্ছেন তিনি। ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে এমনটাই।
‘নিউজ 18 বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া-৪ আসনে আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। কিন্তু সাফল্য তাতেও মেলেনি। ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল রাতে ভোট গণনা শেষে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রশাসক ফলাফল জানিয়েছেন। কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২ টি কেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশফিকুর রহমান ১০ হাজার ৭৯১ এবং কামরুল হাসান সিদ্দিকী ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়েছেন। এদিকে হিরো আলমের অভিযোগ, ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেল কই? ফলাফল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলেছেন ‘মশাল’ জিতে গেছে। এই ফলাফল আমি মানি না।
‘ঢাকা পোস্ট’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ‘চংক্রান্ত করে হারিয়ে দিলেও, যা ভোট পেয়েছি তাতেই আমি বিজয়ী’। প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ‘ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল জানিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট আমি পেয়েছি, তা জানানো হয়নি আমাকে। কিছু কিছু শিক্ষিত লোকের আমাকে মেনে নিতে আপত্তি। তাঁরা মনে করেন, আমি পাশ করলে দেশের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে ‘স্যার’ বলে সম্মোধন করতে হবে। আর তাই আমি জিততে পারিনি’। এই মর্মে ‘প্রথম আলো’ সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে হিরো আলমের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
সেখানেও তিনি জানিয়েছেন, বগুড়া-৪ আসনে ভোট হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। জেতাও নিশ্চিত ছিল, কিন্তু কারচুপির কারণে ফলাফল পাল্টে গিয়েছে। ভোট চুরি হয়নি, ফলাফল চুরি হয়েছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন আমাকে, কিন্তু আমার মত অশিক্ষিত মূর্খ ছেলেকে শিক্ষিত কর্মকর্তারা ‘স্যার’ বলবেন, এটা কী করে হয়? আর তাই ফলাফল এই রকম এসেছে। নির্বাচন কমিশন যে কতটা অযোগ্য তা ফের জাতির সামনে প্রমাণ হয়ে গেল। এতে করে নির্বাচন করার কি দরকার ছিল? সরকারের পছন্দমত প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে দিলেই হত! জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচা করে এই নাটকীয় নির্বাচন করার কি কোনও দরকার ছিল? তাঁর কথায়, শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র চলছিল আমাকে নিয়ে। আমার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে কোনও যথাযথ কারণ ছাড়াই দুদফা মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। এক কথায় তিনি বলতে চেয়েছেন, তাঁর হারার পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম