।। প্রথম কলকাতা ।।
Sushant Singh Rajput: ২০২০-র ১৪ জুন ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে (Sushant Singh Rajput)। তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন কুপার হাসপাতালের (Cooper Hospital) একজন কর্মচারী জানাচ্ছেন, খুন হয়েছিলেন অভিনেতা। রূপকুমার শাহ নামে ওই কর্মচারী সুশান্তের ময়না তদন্তের সময় হাজির ছিলেন সেখানে।
সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষ করে এখনও ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেয়নি। কিন্তু এবার এই চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সুশান্তের ভক্তরা আগেও এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করেন নি। এখন তাঁরা এটিকে আত্মহত্যা না ভাবার আরেকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। ‘টিভি নাইন বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রূপকুমার শর্মা বলেছেন, ‘কুপার হাসপাতালে ময়না তদন্তের (Post-Mortem) সময় দেখি সুশান্তের গায়ের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি ঘাড়েও আঘাতের চিহ্ন নজরে আসে। যদিও ময়নাতদন্তের ভিডিও করতে আমাদেরকে বারণ করা হয়েছিল উপর মহল থেকে’।
মর্গের কর্মীর কথায়, ‘যখন প্রথম সুশান্তের দেহ দেখি, তখন আমার সিনিয়রদের জানিয়েছিলাম এটা আত্মহত্যা নয় খুন বলে মনে হচ্ছে। আমার ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ৫০-৬০ হাজার লাশের পোস্টমর্টেম করেছি। স্যার বললেন, এই নিয়ে পরে আলোচনা করি। কিছুতেই আমার কথা শোনা হয়নি। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব আমাকে কাজ শেষ করে, অভিনেতার দেহ পুলিশের কাছে দিয়ে দিতে বলে’। তাঁর বক্তব্য, যে কেউ অভিনেতার ছবি দেখে বলে দিতে পারবে যে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর ন্যায় পাওয়া উচিত। যদি তদন্তকারী সংস্থা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে আমি তাই বলব।
৩৪ বছর বয়সে অভিনেতার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি কেউ। অভিনেতার পরিবার থেকে শুরু করে তাঁর ভক্তরা খুনের অভিযোগ এনেছিলেন। #JusticeForSSR প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রায় অনেক মাস পর্যন্ত সেই আন্দোলন জারি ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় আন্দোলন জারি রেখেছিল অভিনেতার অনুরাগীরা। এমনকি প্রতিবাদের সামিল হয়েছিলেন তারকারাও। তদন্তভার দেওয়া হয় NCB, ED’কে। নাম জড়িয়ে ছিল মাদক চক্রের। এমনকি গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিনেতার বিশেষ বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) ও তাঁর ভাই। আজ তাঁর মৃত্যুর আড়াই বছর পর মর্গের কর্মীর এই খুলাশা হিলিয়ে রেখে দিয়েছে সকলকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম