।। প্রথম কলকাতা ।।
International Men’s Day: বর্তমান সমাজে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও নিগৃহীত হচ্ছেন। আলগা হয়ে গিয়েছে ভালবাসার বন্ধন। এর পিছনে ষড়যন্ত্র হিসেবে ইন্ধন যোগাচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, লোভ-লালসা, উচ্চ বিলাসিতা, পরকীয়া, নৈতিক স্খলন, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক বৈষম্য আর বিশ্বায়নের ক্ষতিকর প্রভাব। সমাজে নারী আর পুরুষের অবদান সমান। একটা সমাজকে সুষ্ঠু এবং সুস্থভাবে গড়ে তোলার পিছনে একজন নারীর যতটা অবদান থাকে ঠিক ততটাই ভূমিকা রাখেন একজন পুরুষ। তাই প্রতিবছর সারা বিশ্বজুড়ে শুধুমাত্র নারী দিবস নয়, পুরুষ দিবসও পালন করা হয়। প্রতিবছর নিয়ম করে ১৯শে নভেম্বর বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। এই সমাজে শুধু নারীরা নয়, অত্যাচারে দেওয়ালে কোণঠাসা হন একজন পুরুষও।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের একটাই উদ্দেশ্য, পুরুষদের সমাজে যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে তা সবার সামনে তুলে ধরা। ক্রোয়েশিয়া, চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান, কিউবা, স্কটল্যান্ড, কানাডা, নরওয়ে, ডেনমার্ক প্রভৃতি দেশে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালিত হয়। একজন পুরুষ শুধুমাত্র রক্তমাংসের মানুষ নন। তিনি কারোর ভাই, কারোর পিতা, কারোর সন্তান, আবার কারোর অভিভাবক। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসেই নয়, বছরের প্রত্যেকটি দিনই পুরুষদের সম্মান জানানো উচিত।
ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করলে দেখা যাবে, প্রথমে ১৯৯২ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এবং এর পিছনে মূল ভূমিকা ছিল থমাস ওস্টারের। পরবর্তীকালে ১৯শে নভেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়। ভারতে ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস যথানিয়মে পালিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি বিশ্বের কোনায় কোনায় থাকা নানান সংস্থা পুরুষদের অধিকার নিয়ে এইদিন নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে পুরুষ দিবস নিয়ে লেখালেখি হয়। পুরুষদের শারীরিক, সমাজিক, সংবেদনশীল বিষয় গুলির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করার জন্য নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম