।। প্রথম কলকাতা ।।
North Korea Crisis: দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) বারংবার দাবি করে এসেছে, তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন গুনছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। এবার সেই আশঙ্কা সত্যি হল। কিম জং উন (Kim Jong-un) বাধ্য হলেন জরুরি বৈঠক করতে। কিমের মতো শাসক, তাহলে কি তাঁর কপালেও এবার চিন্তার ভাঁজ? গোটা বিশ্বজুড়ে কিম সম্পর্কিত নানান প্রবাদ প্রচলিত আছে। শোনা যায় কিমকে নাকি কোন কিছু দমাতে পারে না। তাহলে কি এই তীব্র খাদ্য সংকটের কাছে হার মানতে হবে কিম জং উনকে?
কিছুদিন আগেই উত্তর কোরিয়ায় সেনা সদস্যদের রেশন কমানো হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি পত্রিকা। এমনটা দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার ঘটে। যার কারণে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে বলা হয় কৃষি বিষয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন দল একটি জরুরি বৈঠকের পরিকল্পনা করছে। এই সংকটের কথা দেশটি স্বীকার করে নিয়েছে। তারাও মনে করছে ধীরে ধীরে খাদ্য পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে। উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকটের পিছনে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আগে ১৯৯০ এর দশকে উত্তর কোরিয়ার মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিল। এমনি থেকেই উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি একটু চাপে থাকে। যেহেতু কিম সর্বদা নিজের দেশকে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন, সেক্ষেত্রে প্রচুর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ ৩৮ নর্থের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ায় যে পরিমাণ খাদ্য রয়েছে তা মানুষের ন্যূনতম চাহিদার থেকে কম।
সেই ২০২১ থেকে শোনা যাচ্ছে দেশটি তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্য দিয়ে রয়েছে. যেহেতু অতীতেও অনেক মারাত্মক দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে তাই চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে কিম জং উনের কপালে। কঠোর গোপনীয়তায় ঢাকা এই রাষ্ট্রে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন। শোনা যায়, উত্তর কোরিয়ার মানুষ ভুট্টার থেকে ভাত বেশি পছন্দ করে। কিন্তু শুধুমাত্র দামের কারণে ভুট্টা বেশি খায়, কারণ চালের দাম অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক টাইফুনে উত্তর কোরিয়া বড়সড় ক্ষতির মুখে। ধান আর ভুট্টার ফসল তোলার সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
২০২৩ এর ২৭শে ফেব্রুয়ারি সোমবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী কমিটির বর্ধিত বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে কিম কৃষি উৎপাদনে মৌলিক রূপান্তর সাধনের নির্দেশনা দিয়েছেন। গুরুত্ব দিয়েছেন স্থিতিশীল কৃষি উৎপাদনের উপর। পাশাপাশি শস্য উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রাকে সর্বোচ্চ জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন। যদিও এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকট ঠিক কতটা তা জানা যায়নি, তবে দেশটি যে খাদ্য সংকটে তা বোঝা যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম