।। প্রথম কলকাতা ।।
বাড়িতে ঐশ্বর্য- জয়া বচ্চনের ঝগড়া হলে বউয়ের নয় মায়ের পক্ষে সব সময় কথা বলেন অভিষেক! সেজন্যই রাই সুন্দরীর এতো রাগ? মেজাজ দেখিয়ে ফোন ছুঁড়ে ফেলেন জয়া। না এটা সাজানো কোনও গল্প নয় কফি উইথ করণের এই সত্যিটা ফাঁস করেছেন মেয়ে শ্বেতা। ফ্যানরা বলছেন অভিষেকের সংসারে শ্বেতার এতো নাক গলানো কীসের? সব সময় কেন মেজাজ সপ্তমে জয়া বচ্চনের? আসলে অমিতাভ পত্নীর কথাই শেষ কথা বচ্চন পরিবারে। তাঁর মেজাজের কাছে চুপ করে যান বিগ বিও! ভীষণ মুডি মিসেস বচ্চন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী বলে কথা! শাশুড়ির মেজাজ সহ্য করবেনই বা কেন? তবে কি নিজের মেয়ের জায়গাটা বউমাকে দিতে পারেননি জয়া? বচ্চন পরিবারেও এতো ঝামেলা আগে বুঝেছেন কখনও আসলে আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তা একেবারেই সত্যিই নয়, জয়া বচ্চন বাড়িতে আর কী কী করেন জানুন তাহলে।
ঐশ্বর্য-জয়া বচ্চনের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হলে অভিষেক নাকি সব জেনে বুঝেও মায়ের হয়েই কথা বলেন। রাই সিন্দরীর এতো গুণ। তাঁর আলাদা পরিচিতি রয়েছে। তিনি অন্যের কথা শুনবেনই বা কেন! শুধু কী তাই জয়া বচ্চন বাড়িতে কী কী করেন জানেন? যা শুনলে আপনিও রেগে যাবেন। বদমেজাজি স্বভাবের জন্য বলিউডে বেশ পরিচিতি আছে। প্রায়শই মেজাজ হারান না বলে তাঁর ছবি তোলা একেবারে না পসন্দ তাঁর। সকলের সামেনই অদ্ভুত আচরণ করতে থাকেন। নেটিজেনরাও তাঁর এই ব্যবহারে বেজায় খচে যান। অনেকেই বলেন মিডিয়া একেবারে বন্ধ করে দিক ওনার ছবি তোলা তাতে উনিও শান্তি পান। আর কাউকে এত অপমানিত হতে হয় না! বাইরেই যাঁর ব্যবহার এরকম! ভেবে দেখুন বাড়িতে কী করেন তিনি!
কফি উইথ করণের দ্বিতীয় সিজনে শ্বেতা বচ্চন এবং জয়া বচ্চন একটি পর্বে একসঙ্গে এসেছিলেন। তখনই মেয়ে বলে জয়া নাকি রাগ হলেই ফোন ঠুকতে থাকে। এভাবেই একের পর এক ফোন ভাঙে। এতো মেজাজ সহ্য করতে না পেরেই কী ঐশ্বর্য শ্বশুড়বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
আসলে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করার আগে একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঐশ্বর্য রায়। সেই তালিকাতে রয়েছে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা সালমান খান, বিবেক ওবেরয়। হাম দিল দে চুকে সানাম সিনেমায় কাজ করার সময় একে অপরের কাছে এসেছিলেন সালমান খান এবং ঐশ্বর্য রাই। তাঁদের মধ্যে এমন মিষ্টি সম্পর্কের গুঞ্জন রীতিমতো দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা বলি ইন্ডাস্ট্রিতে।
খুব তাড়াতাড়ি তাদের এই সম্পর্ক শেষের পথে চলে আসে। কেন বিচ্ছেদ হয় এই নিয়ে অনেক মতভেদ থাকলেও পরবর্তীতে জানা যায় আসল সত্য। জানা যায়, সালমান খান তার পরিবারকে খুবই ভালোবাসতেন, কিন্তু অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া কখনোই চাইতেন না সালমান তার পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখুক। এমনকি ঐশ্বরিয়া সালমানকে তার পরিবার বা ঐশ্বর্য একজনকে বেছে নিতে বলেছিল। আর সেই কারণেই তাদের সম্পর্কে চির ধরে। এখন অনেকেই বলেন সালমনের সাথে সংসার পাতলেই হতো ঐশ্বর্যর জন্য ভালো হতো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম