।। প্রথম কলকাতা ।।
Weight Loss: নতুন বছরের (New Year) প্রথম থেকেই যদি আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। ওজন কমানোর সঙ্গে ডায়েটের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে জানেন কি, ডায়েট (Diet) ছাড়াই আপনি ওজন কমাতে পারেন। আপনার প্রিয় খাবারগুলিকে তার জন্য বাদের তালিকায় রাখার দরকার নেই। অতিরিক্ত ওজন অনেকের কাছেই বেশ অস্বস্তিকর। অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারেন নানান রোগ। এর জেরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। আর তার থেকেও বেশি জরুরি সুস্থ থাকা। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকে হীনমন্যতায় ভোগেন, আবার কেউ বা মানসিক অবসাদে চলে যান। আপনি ডায়েট ছাড়াই ওজন কমাতে পারবেন। যদি উচ্চতার তুলনায় ওজন সামান্য বেশি হয় তাহলে এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যা মানলে ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।
(১) আপনি সারাদিনে ঠিক কি ধরনের তরল পানীয় খাচ্ছেন সেই দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি (sugar) জাতীয় পানীয় একটু এড়িয়ে যাবেন। উদ্ভিজ্জ পানীয়, চা, কফি, ফলের জুস, সবই খেতে পারেন, তবে চিনি অল্প দিয়ে।
(২) যখন ভারী খাবার খাবেন, ঠিক তার ৩০ মিনিট আগে একটা ফল খান। কারণ ফল খাবার হজম হতে সাহায্য করে।
(৩) খাবার খান ছোট প্লেট কিংবা থালায়। সাধারণত বড় প্লেটে খাবার নিলে খাবারের পরিমাণ বোঝা যায় না এবং পরিমাণে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ছোট প্লেটে খাবার খেতে পারেন কিংবা চামচে করে খাবার খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
(৪) খাবার খান একটু সময় নিয়ে। গোগ্রাসে গিলে খেলে হিতে বিপরীত হবে। দীর্ঘক্ষণ চিবিয়ে খাবার খেলে নানান উপকার পাওয়া যায়। এর ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমে, পাশাপাশি ভালো হজম হয়।
(৫) ঘুমের সময়ের (Sleeping time) যদি উল্টোপাল্টা হয় তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে নির্দিষ্ট সময়ের ঘুম বেছে নিতে হবে। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
(৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। যদি মনে করেন নিয়মিত জিমে যেতে পারছেন না কিংবা ব্যায়াম করতে কষ্ট হচ্ছে তাহলে প্রতিদিন হাঁটতে পারেন। ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও সিঁড়ি আহরণ, নাচ, সাইক্লিং, সাঁতার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
(৭) সকালের ব্রেকফাস্টে (Breakfast) রাখুন ওটস কিংবা বার্লি। দুপুরের খাবারে সাদা চালের পরিবর্তে রাখুন বাদামি চালের ভাত। ময়দাকে বাদ দিয়ে পুরো গম দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন।
(৮) প্রোটিন (protein) জাতীয় আর ফাইবার জাতীয় খাবার একটু বেশি করে খেতে হবে। তার জন্য পাতে রাখবেন ডিম, মুরগির মাংস, টক দই প্রভৃতি খাবার। পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে অস্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন ভাজাপোড়া কিংবা ফাস্টফুড।
(৯) খাবার খাওয়ার আগে অন্তত এক থেকে দুই গ্লাস জল পান করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার প্রবণতা কমে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার রোধ করতে এটি একটি দুর্দান্ত কৌশল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম