।। প্রথম কলকাতা ।।
আবার নতুন উড়ান। মুম্বই শহর তথা দেশকে দেওয়ালির আগে নতুন উপহার নীতা আম্বানির। তাঁর উদ্যোগে ফের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু হল। নীতা আম্বানি মানেই যেন চমক। তিনি যাতে হাত দেন তাই যেন সোনা হয়ে যায়। ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দায়িত্ব নিয়ে তাকে পৌঁছে দিয়েছেন সাফল্যের চৃড়ায়। বিশ্বজুড়ে এখন সেই স্কুলের সুনাম। সেই জার্নির মাঝেই ফের এক স্কুল চালু হল তাঁর উদ্যোগে। কাদের জন্য তৈরি হল এই স্কুল? কি কি বিশেষত্ব থাকছে সেখানে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। এক নয়া শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনের সাক্ষী রইল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। ১ বুধবার নভেম্বর চালু হল নীতা মুকেশ আম্বানি জুনিয়র স্কুল এনএমএজেএস। আর এই স্কুলটি শিক্ষাদানে নতুন দিশা দেখানোর জন্য তৈরি।ঝা চকচকে বিল্ডিং। সাজানো গোছানো চারপাশ।সেখানেই এবার ভবিষ্যতের ভিত তৈরি হবে কিশোরদের। থাকছে অত্যাধুনিক শিক্ষাদানের সব রকম ব্যবস্হা।
বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে রয়েছে ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ডিএআইএস। এই ক্যাম্পাসের ঠিক পাশেই তৈরি করা হয়েছে নতুন এই স্কুলটি।এটিকে একটি অত্যাধুনিক ক্যাম্পাস হিসেবেই ডিজাইন করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এখানে পড়ুয়ারা পেয়ে যাবে আনন্দদায়ক শিক্ষার সুবিধা।এর পাশাপাশি ছোট ও বড় দলে ভাগ হয়ে কাজ করার সুবিধাও মিলবে এই নয়া স্কুলে। শ্রেষ্ঠত্বের এই যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবদিক থেকে প্রস্তুত এনএমএজেএস।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। নীতা আম্বানির দূরদর্শীতায় তা ইতিমধ্যেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁচেছে। নীতা আম্বানি আসলে মন থেকে একজন শিক্ষিকা এবং শিক্ষাবিদ। সেই সঙ্গে একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন হিসেবে নীতা আম্বানি অসাধারণ আবেগ কাজ করেছে বরাবর। ফলে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে ডিএআইএস-কে বিশ্বের সেরা বিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। আজ ডিএআইএস ভারতের ১ নম্বর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তকমা লাভ করেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের সেরা ২০টি আইবি স্কুলের তালিকাতেও স্থান করে নিয়েছে ডিএআইএস।সবথেকে বড় কথা হল, নীতা মুকেশ আম্বানি থেকে জুনিয়র স্কুলকে সাহায্য করতে চলেছে ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
এই প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি বলেন, ডিএআইএস-এ যেন একটি সুখের বাতাবরণ বজায় থাকে তা সব সময় আমরা চেয়ে এসেছি। আমরা চাই এখানে যেন শিক্ষাদান এবং শিক্ষা গ্রহণ উভয়ই আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। এখন যখন আমরা পিছনের দিকে ফিরে তাকাই, তখন বুঝতে পারি মাত্র দুই দশকে হাজার হাজার শিশু এবং তাদের পরিবারের জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আমরা মহান কৃতজ্ঞতা এবং আশাবাদের সঙ্গে একটি শ্রেষ্ঠত্বের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম যাতে নেতৃত্বদানের পথে এগিয়ে আসে, তার জন্য ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে রয়েছি আমরা। এই নতুন শিক্ষার মন্দির মুম্বই শহর এবং সমগ্র জাতিকে উৎসর্গ করতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম