।। প্রথম কলকাতা ।।
সমুদ্রের তলায় জাসুসি করবে ভারতের নিরাক্ষী। ভারতীয় নৌবাহিনীতে জয়েন করতে যাচ্ছে এই অটোনোমাস আনম্যানড ভেহিক্যাল। এর কাজ টা কী? কেন নিরাক্ষীর নাম শুনলেই শত্রুপক্ষের গায়ে কাঁটা দিচ্ছে? বড় ভূমিকা কলকাতার। এক সেকেন্ডেই নিরাক্ষীর টার্গেটে পড়ে যাবে চীন-পাকিস্তান। গভীর জলে ডুব দিয়েই তুলে ধরবে শত্রুর নাড়ি নক্ষত্র। ৪ ঘন্টায় হবে উথালপাথাল। জানেন কাদের হাতে তৈরি এই অস্ত্র। কীভাবে কাজ করবে এই অস্ত্র? ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানো সহজ হবে না। সাবধান, সব দেখছে নিরাক্ষী। আরও শক্তিশালী ভারতের নৌবাহিনী। এতদিন ভারতবর্ষে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই প্রথম ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে সমুদ্রের তলদেশে থাকা অটোনোমাস আনম্যানড ভেহিক্যাল। অর্থাৎ জলের তলায় চলাচলকারী মানবহীন নৌ যান। নাম “নিরাক্ষী”।
নিরাক্ষীর ক্ষমতা শত্রুদেশের মাথা ঘুরিয়ে দেবে। জলের গভীরে থাকা মাইন খুঁজে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষ্মী বাহিনীকে সাহায্য করা থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের যেকোনো অস্ত্র সহজেই প্রতিরোধ করবে এই অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল “নিরাক্ষী”। কোনও টর্পেডো ভারতীয় উপকূলের দিকে বা ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজের দিকে ছুটে এলে সেটিকেও সহজেই ট্র্যাক করা, শত্রুপক্ষের সাবমেরিন কোন দিক থেকে আসছে সেটিকে ট্র্যাক করে ভারতীয় নৌবাহিনীকে খবর পাঠানো সহ জলের গভীরে যাবতীয় নজরদারির কাজ করবে এই অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যালটি। তাছাড়া, সমুদ্রের তলায় শত্রুপক্ষের পাঠানো কোনও অজ্ঞাত বস্তুকে এক লহমায় চিহ্নিত করতে পারবে ‘নিরাক্ষী’।
নিজেই অনবরত নজরদারি চালাবে জলের তলায়।জানিয়ে রাখি এটা বর্তমানে মাইন খুঁজে দেওয়ার কাজ করলেও পরবর্তীকালে আরো আধুনিক যন্ত্রাংশ যুক্ত করে এই অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যালটিকে মাইন নষ্ট করার কাজেও ব্যবহার করা হবে। এর প্লাস পয়েন্ট হলো, নিরাক্ষীর ভিতরে এতটাই অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ বসানো হয়েছে যে, শত্রুপক্ষের যুদ্ধ জাহাজে থাকা সিস্টেম সেটিকে ট্র্যাক করতে পারবে না।
কীভাবে কাজ করবে নিরাক্ষী?
এই অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যালটি যুদ্ধজাজের মধ্যে থাকবে। তারপর সেটিকে মাঝসমুদ্রে নামিয়ে দেওয়া হবে। যেকোনো যুদ্ধ জাহাজ এবং উপকূলে থাকা নৌ সেনার কন্ট্রোল রুম থেকে এই যানটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই যানটি জলের প্রায় ৩০০ মিটার নীচে ডুবে চলাচল করতে পারবে। একবার ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়া হলে ৪ ঘন্টা সমুদ্রের তলদেশে থাকতে পারবে নিশ্চিতভাবে।
নিরাক্ষীকে এককথায় “মিনি সাবমেরিন” ও বলা হচ্ছে। তবে, সম্পূর্ণ সাবমেরিন এর মতো দেখতে হলেও এই ষ যন্ত্রটি আকারে অত্যন্ত ছোট। অথচ কার্যকরী ভূমিকা থাকবে এর সর্বাধিক, একেবারে যাকে বলে তুখোড়। ৪৫ কেজির এই অটোনোমাস আনম্যানড ভেহিক্যালটি তৈরি করেছে। গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স মানে জিআরএসই। এই যানটি ২.১৫ মিটার লম্বা। সম্প্রতি গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এর জেটিতে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নিরাক্ষীর উদ্বোধন করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গবেষণা এবং উন্নয়ন বিভাগের সচিব তথা ডিআরডিও’র চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাত। তিনি এর নাম দিয়েছেন, “নিরাক্ষী”। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই অত্যাধুনিক যানটি ভারতবর্ষের নৌবাহিনীতে জয়েন করবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম