।। প্রথম কলকাতা ।।
দিল্লিতে NIAর খতরনাক অপারেশেন। রাজধানীতেই লুকিয়ে ৪ মোস্ট ওয়ান্টেড ISIS জঙ্গি। স্লিপার সেল কতটা অ্যাকটিভ এমূহুর্তে। কীভাবে ভারতে ঢুকল এই জঙ্গিরা? সর্ষের মধ্যেই ভূত। একবার কেউ এদের একজনকেও ধরিয়ে দিতে পারলে পাবে মোটা টাকা। এক একজনের মাথার দাম ৩ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছে NIA, কিন্তু কেন? এমন কোন নাশকতার ছক কষেছিল এরা? শুধু এনআইএ নয় দিল্লি ও পুনে পুলিশে একসঙ্গে চালাচ্ছে অভিযান।
মহম্মদ শাহনওয়াজ আলম ওরফে সফিউজ্জামা ওরফে আবদুল্লাহ রিজওয়ান আবদুল হাজি আলি আবদুল্লাহ ফৈয়াজ এই এক একজনের সোজা লিঙ্ক ISISর সঙ্গে।ভারতে কি স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করত এই ৩ যুবক?দেশে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটানোর কষা হয়েছিল ছক। এক একজন জঙ্গি ডিটেলস শুনলে চোখ উঠবে কপালে। পুলিশ সূত্রে খবর, শাহনওয়াজ আলম ওরফে পেশায় একজন খনি ইঞ্জিনিয়ার ছিল। পুনে থেকে সে পালিয়ে দিল্লিতে চলে আসে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে এক ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছিল। অন্য দুই সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে আবদুল্লাহ ফৈয়াজের পুনের কোন্ধওয়া এলাকায় একটি ডায়পারের দোকান ছিল। যার জন্য সে ডায়পারওয়ালা নামেও পরিচিত। তবে, সেই দোকানে আসলে যা হত অবাক হয়ে যাবেন জানলে।
আবদুল্লাহ ফৈয়াজের ডায়াপারের দোকানে তৈরি হত বিস্ফোরক যন্ত্র। এমনকি দোকানের ভিতর ছিস পরীক্ষাগার যেখানে লাগাতার চলত গবেষণা। অপর জঙ্গি, রিজওয়ান আবদুল হাজি আলি দিল্লিরই বাসিন্দা। রিজওয়ানের বাড়ি মধ্য দিল্লির দরিয়াগঞ্জে এনআইএ জানাচ্ছে ISIS-এর পুনে মডিউলের সদস্যদের টার্গেটই ছিল। ভারতে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা আর তার জন্য সন্ত্রাসবাদ ও হিংসা ছড়ানো সরাসরি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো। জুলাই মাসে পুনেতেই পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল মহম্মদ শাহনওয়াজ। পরে পুলিশ, ইমরান এবং ইউনুস নামে শাহনওয়াজের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। জেরার সময় তারা এমন কিছু কথা বলেছিল যা থেকে পুলিশের সন্দেহ হয় তাদের সঙ্গে আইআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও যোগ রয়েছে। এবার দিল্লি ওলিতে গলিতে চলছে এনআইএর সার্চ অপারেশন এমনকি সীমান্তবর্তী এলাকাতেই চলছে কড়া নজরদারি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম