।। প্রথম কলকাতা ।।
Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড়সড় বদল আনল রাজ্য সরকার, কোন কোন রোগে মিলবে না সুবিধা? কি কি বদল থাকছে? কেন এই বদল? স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে আর হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড়সড় বদল আনল রাজ্য সরকার। তবে পথ দুর্ঘটনায় আহতদের হাড়ের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকরী নয়। স্বাস্থ্য দফতরের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হাড়ের যে কোনও সমস্যায় অস্ত্রোপচার করানোর সুযোগ মিলবে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে।
আবার বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করাতে গেলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে দিয়ে নির্দিষ্ট ফর্মে রেফারাল সার্টিফিকেট বানাতে হবে। তারপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধে মিলবে বেসরকারি হাসপাতালে। এর আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে হাড়ের অস্ত্রোপচারে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। কারণ সেখানকার সরকারি হাসাপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন এই সিদ্ধান্ত গোটা রাজ্যের জন্য।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার স্বাক্ষর করা নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায়। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের এবং সরকারি চিকিৎসা পরিকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবহার, দুর্নীতি এবং বেনিয়ম ঠেকাতে এই নির্দেশিকা বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে একাধিকবার বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই বেনিয়ম ঠেকাতে তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কয়েক সপ্তাহ আগেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেশিবার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা যাবে না।
অভিযোগ উঠেছিল, ১০০ জনের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজন হয়। অথচ বাস্তবে দেখা যায় অনেকেই অহেতুক তা করিয়েছেন। সেজন্য ছ’মাস বা এক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দ্বিতীয়বার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে পারবে না। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অনিয়ম রুখতে এই প্রকল্পের পোর্টালে চিকিৎসা নথি বা শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আপলোড করা হলে তাতে কীভাবে চিকিৎসকের সই থাকতে হবে, সে বিষয়টিও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম