।। প্রথম কলকাতা ।।
Kalighat Mandir: এ কোন কালীঘাট মন্দির ?এই ভিডিও দেখলে প্রশ্ন করবেন আপনিও। মন্দিরের কোণায় কোণায় নতুনত্ত্বের ছোঁয়া। ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? এই নকশা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আলোয় আলোয় নতুন সাজ। আগের থেকে আরও বড়। তিনটে সোনার চূড়া দণ্ডে আলো পড়লে চোখ যেন ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। আর কী কী নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে? নয়া সাজে কালীতীর্থ কালীঘাট আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
গ্রামের মাটির বাড়ি ও কুঁড়েঘরের সংমিশ্রণ ধরা পড়ে এই কালীমন্দিরের ছাদে। যে স্থাপত্যে মন্দিরের ছাদ তৈরি, তাকে গ্রামবাংলায় চালাঘর বলা হয়। যে কারণে স্থাপত্য ভাষার কালীঘাট মন্দিরের নাম চালা টেম্পল। তাই তাকে নতুন মোড়কে তুলে ধরা হয়েছে। গর্ভগৃহের ভিতর ঢুকে উপরের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন ফুলের নকশা। তাতে বাহারি রঙ হলুদ, লাল, আকাশী। এলইডি আলো গিয়ে যাকে হাইলাইট করা হয়েছে। মূল মন্দির থেকে নাটমন্দির পুরোটাই আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে। মন্দিরের সাইডে ফোয়ারা।
মূল মন্দিরের মাথায় তিনটে চুড়োয় রয়েছে তিনটি স্তম্ভ। মাঝের স্তম্ভটি বহন করছে একটি উল্লম্ব পতাকা। এতদিন সবকটি ছিল মাটির। এখন তা হল সোনার।
২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিনটি সোনার চূড়া। একেবারে নিখাদ সোনার চূড়া। একেবারে ঝলমল করছে মন্দিরের মাথায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ৫০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে এই চূড়া তৈরির জন্য। দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে ভোগের ঘর, নাটমন্দির মূলমন্দির, বলির জায়গাতেও আমূল সংস্কার হয়েছে। মায়ের মন্দিরের নতুন রূপ সত্যি মুগ্ধ হয়ে দেখার মতই।
ষোড়শ শতকের মধ্যভাগে ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারী নামে এক সাধক দেবী কালীর পুজো করতেন। তিনি তাঁর জামাই আগমাচার্য ভবানীদাস চক্রবর্তীকে কালীঘাটের মন্দির হস্তান্তরিত করেছিলেন। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যর কাকা রাজা বসন্ত রায় এখানে মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন।
পরে দেবীর মন্দির জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ১৮০৯ সালে সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা এখানে মন্দির তৈরি করে দেন এমনটাই দাবি। এই কালীঘাট মন্দিরের একেবারে জগৎজোড়া খ্য়াতি। কলকাতায় আসবেন আর কালীঘাট দেখবেন না এটা যেন অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। আর এবার সেই কালীঘাট মন্দির একেবারে নতুন সাজে। দেবীর মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শ্যামরায়ের মন্দির। যা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়ির সদস্যরা। দেবীর মন্দিরের সামনের নাটমন্দির তৈরি করেছিলেন আন্দুলের মহারাজ কাশীনাথ রায়। পঞ্জাবের তারা সিং এসে আবার গঠন করেছিলেন কালীঘাটের দেবী কালীর ভৈরব নকুলেশ্বরের মন্দির। এছাড়াও অন্যান্য জমিদার এবং ব্যবসায়ীরাও এই মন্দিরের চারপাশ তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন।
এর আগে ৫১ সতীপীঠের মধ্য়ে কামাখ্যা মন্দিরের চূড়া সোনা দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল। এবার কালীঘাট মন্দিরেও সোনার চূড়া।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম