।। প্রথম কলকাতা।।
Netaji Subhash Chandra Bose: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে একজন তিনি। কলকাতার বাসিন্দা এবং একজন আইনজীবীর ছেলে ছিলেন। বাবা-মা তাঁকে সিভিল সার্ভিসের পড়ানোর জন্য কেমব্রিড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় নাম লেখালেন। গান্ধী কর্তৃক শুরু হওয়া অসহযোগ আন্দোলনের যোগ দিয়ে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন একজন উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র। নিজের সমগ্র জীবন যিনি দেশকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেন ২০২১-এ। তিনি পরপর দু’বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মনে করতেন গান্ধীজীর অহিংসা এবং সত্যাগ্রহের নীতি ভারত মাতাকে স্বাধীন করার জন্য যথেষ্ট নয় তাই সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। ফরোয়ার ব্লক নামের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে স্বাধীনের দাবি জানাতে থাকেন। গুগলে তাঁর নাম দিয়ে সার্চ করলে মৃত্যুর তারিখ আসে ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট। কিন্তু আজও দেশবাসীর কাছে তিনি সেদিন মরেননি। তাঁর মৃত্যু একটা রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছে। হাজারও নথির তলায় চাপা পড়ে রয়েছে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য। তবে এই নিয়ে নানা ধরনের ছবি, ওয়েব সিরিজ রয়েছে। রইল সেই ছবির তালিকা যা, এক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর কাহিনী বলেছে।-
*সুভাষ চন্দ্র (১৯৬৬)-
(Subhash Chandra)
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব নেতাজি। তাঁর জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমায় তাঁর শৈশব, কলেজের দিন, আইসিএস পাশ করা থেকে শুরু করে কিছু রাজনৈতিক প্রচারণা এবং গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বোসের জীবনের উপর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে এটি একটি।
*আমি সুভাষ বলছি (২০১১)-
(Ami Subhash Bolchi)
এই ছবিটির প্লট একেবারেই ভিন্ন, কিন্তু আকর্ষণীয়। মূলত দেবব্রত বোসের মধ্যে দিয়ে এই ছবিতে সুভাষের গল্পে এসেছে একটু পরিবর্তন। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের এই ছবিতে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। যেখানে নেতাজির চরিত্রকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘উঠুন, জাগুন’।
বোস: মৃত/জীবিত (২০১৭)-
(Bose: Dead/Alive)
‘অল্ট বালাজি’র এই ওয়েব সিরিজে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও। নেতাজিকে নিয়ে দেশবাসীর মনে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। বলতে গেলে, দেশের ইতিহাসে একটা ক্ষতর মতো সেই প্রশ্নগুলি। কী হয়েছিল সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে? আসল কাহিনী সকলের কাছেই অজানা। এই সিরিজের কাহিনীতে রয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন নেতাজিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়, তখন তাঁর পরিবারকে টেলিগ্রাম করা হয় এবং জানানো হয় যে তিনি মরেন নি।
গুমনামি (২০১৯)-
(Gumnami)
এই ছবির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি মুক্তির আগে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন পরিচালক। ছবিটি তৈরি হয়েছে নেতাজি গবেষক অনুজ ধর এবং চন্দ্রচূড় ঘোষের লেখা বই ‘Conundrum: Subhash Bose’s life after Death’থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। ছবিতে নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় রহস্যজনক মৃত্যুর বিপক্ষেই যুক্তি খাড়া করা হয়েছে। ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট তাইহোকু বিমানবন্দরের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি সুভাষচন্দ্র বোস, দাবি করা হয়েছে বইতে। সেইসঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে, সেদিন আদতে কোনও বিমান ওড়েনি। নেতাজির নির্দেশে অতি সযত্নে বিমান দুর্ঘটনার কাহিনী সাজিয়েছিলেন জাপানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। তিনি মাঞ্চুরিয়া হয়ে প্রবেশ করেছিলেন রাশিয়ায়। সেখান থেকে শেষমেশ নেপাল হয়ে পা রাখেন ভারতে। ছবিটি মূলত দর্শক দেখেছেন চন্দ্রচূড়ের চোখ দিয়ে। উল্লেখ্য নেতাজির মৃত্যু রহস্য সংক্রান্ত তাঁর যুক্তি প্রাধান্য পেয়েছে ছবিতে। ছবিতে নেতাজির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে অনিবার্ণকে।
দ্য ফরগটেন আর্মি (২০২০)-
(The Forgotten Army)
এই ছবি পঞ্চান্ন হাজার সৈন্যের গল্প বলেছে। যাঁরা জাপানি এবং ইংরেজ সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই করে মারা গিয়েছিল। সৈন্যরা ১৯৪২-এ মারা যেতে পারে, কিন্তু তাঁরা এবং তাঁদের আত্মত্যাগ এখনও বেঁচে রয়েছে এই ধরণের ছবির মধ্যে দিয়ে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম