।। প্রথম কলকাতা ।।
Nepal India: অখন্ড ভারতের মানচিত্র নিয়ে এ কি হুঁশিয়ারি দিল নেপাল। অখন্ড ভারতের মানচিত্র নিয়ে এত বিতর্ক কেন? জানেন সত্যিই এটা হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির এজেন্ডা নাকি আসলে অন্য কিছু। ফ্যাক্ট জানলে অবাক হয়ে যাবেন। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া অবাক করে দিচ্ছে। একে নতুন সংসদ ভবন নিয়ে এত বিতর্ক তবে সেটা ছাপিয়ে গিয়েছে। সংসদ ভবনের একজায়গায় থাকা একটুকরো ভারতের মানচিত্র।
মানচিত্রের সত্যতা দুভাবে ভাবতে শেখাবে আপনাকে। অখন্ড ভারতের এই ম্যাপ দেখে বিরোধীরা যেমন রে রে করে তেড়ে এসেছে। তেমনই ভারতকে সরাসরি টার্গেট নেপালের। পাকিস্তান কি বলল এটা জানাটা জরুরি। এই ম্যাপে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে ভারতের অংশই দেখানো হয়েছে। বিরোধীদের দাবি এটাই হল আরএসএসের ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর প্রথম এজেন্ডা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই বলছেন যদি এমনটা হয়েও থাকে তাহলে তার আলোচনা-সমালোচনা-বিশ্লেষণ হবে নিশ্চয় হবে। কিন্তু আসলে এই মানচিত্র কি হিসেবে তৈরি হয়েছে এটা তো মনগড়া কিছু হতে পারে না।
আসল সত্যিটা আগে জানতে হবে তারপর আপনার মনে হলে সমালোচনার ঝড় তোলা যেতেই পারে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পাকিস্তান এনিয়ে মারাত্মক অসন্তুষ্ঠ হলেও তাদের সরকারের কাছ থেকে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করা হয়নি। এটা বেশ নোট করার ব্যাপার। লুম্বিনি, কপিলবস্তু নেপালের দুটো অঞ্চল একজায়গায় গৌতম বুদ্ধের জন্ম অন্যস্থান শাক্য রাজত্বের রাজধানী ছিল। যেখানে বুদ্ধের ছোটবেলা কেটেছে। মানচিত্রে দেখানো হয়েছে এটাও ভারতের অংশ। নেপাল মারাত্মক ক্ষুব্ধ ঠিক সেখানেই। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ও বাবুরাম ভট্টরাই রীতিমত হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। ভারতের এমন পদক্ষেপে এবার নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার রিস্ক বাড়ছে। ঐতিহাসিক মহলের দাবি, এটা এখনকার কোনও পরিকল্পনা নয়। আসলে সংসদ ভবনে থাকা এই মানচিত্র সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ভারতের মানচিত্র। দুটো মানচিত্রের ছবি পাশাপাশি রাখলে অনেক মিল দেখতে পাবেন। ম্যাপের নিচের অংশে চলে যান। নিচের অংশ চোল, পান্ডুয়া, কেরালাপুত্র সাম্রাজ্য ছিল না অশোকের দখলে তাই সংসদে থাকা এই মানচিত্রেও দেখতে পাবেন। নিচের এই অংশের রং বদলে গেছে।
এছাড়াও সৌরাষ্ট্র, গিরিনগর, উজ্জয়িনী, বিদিশা এগুলো অশোকের সময়ের অঞ্চলের নাম সেটাও দেখা যাচ্ছে বিতর্কিত এই ম্যাপে। পাশে থাকা এই মূর্তির ছবিটা জানেন কিসের? বিশেষজ্ঞদের দাবি, কর্ণাটকের সন্নতিতে সম্রাট অশোকের একমাত্র ছবি। আর এই গোটা মানচিত্রই আসলে বুঝিয়ে দিচ্ছে। ভারতের সভ্যতা ব্রিটিশ আসার আগে কতটা মজবুত সভ্যতা ছিল। কর্ণাটক বিজেপির তরফেও টুইটে লেখা হয় ‘এটি আমাদের গর্বিত মহান সভ্যতার প্রাণশক্তির প্রতীক।’ কিন্তু এখন প্রশ্ন হল নেপালের ভূমিকায়৷ প্রধানমন্ত্রী পুস্পকমল দহল প্রচন্ড এখন ভারত সফরে তখনই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই বলছেন নেপাল যখন চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় তখন মনে থাকে না যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। এমনকি অলি তো এটাও বলেছেন এই ভারত সফরেই প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ডর উচিত মানচিত্র থেকে তাদের অংশ মুছে ফেলা। ভারত সরকারের তরফ থেকে কিন্তু অফিসিয়ালি কোনও বিবৃতি এ নিয়ে দেওয়া হয়নি। এবার আদতে এই বিতর্ক কোন দিকে যাবে সেটাই দেখার৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম