।। প্রথম কলকাতা ।।
Split Ends: হাজার চেষ্টা করেও চুলের ডগা ফাটা আটকাতে পারেননি অনেকেই। চুলের ডগা ফেটে একদম রুক্ষ শুষ্ক দেখায়। এই সমস্যায় কমবেশি সব মেয়েরাই ভোগে। দু’মুখো চুলের সমস্যার পিছনে নানা কারণ দায়ী থাকে। সাধারণত আর্দ্রতার অভাবে ডগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বার বার চুল কেটে ফেলা কোনও সমাধান নয়। তাছাড়া চুল কেটে ফেলার কয়েক মাস পর আবার এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই ডগা ফাটার সমস্যাকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে। এমন উপায় গ্রহণ করতে হবে, তা ডগা ফাটার সমস্যাকে প্রতিরোধ করবে। কিভাবে করবেন প্রতিরোধ উপায়গুলি জানুন।
স্নানের পর তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল ঝাড়বেন না। চুল থেকে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে চেপে জল মুছে নিতে পারেন। গেঞ্জি কাপড় হলে সব থেকে ভাল। চুলে বেশি সময় ধরে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখাও উচিত নয়। চুল মোছার জন্য মাইক্রোফাইবারজাতীয় তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতি দিন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোনো চুলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায় ড্রায়ারের তাপের কারণে। ধীরে ধীরে চুল লাল হয়ে ফেটে যায়। নিতান্তই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হলে চুলে অবশ্যই হিট প্রোটেক্টর ব্যবহার করুন। কার্লার, স্ট্রেটনার বা ক্রিম্পারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
গরম জলে স্নান করলে চুলের আর্দ্রতা হারাতে থাকে। যার জেরে রুক্ষ হয়ে চুল ফেটে যায়। ঠান্ডা লাগলে বরং হালকা গরম জলে স্নান করুন। তবে স্নানের শেষে চুলে ঠান্ডা জল ঢেলে নিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। এতে চুলের ডগা ফাটা রোধ হবে।
চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে নারকেল তেলের চেয়ে ভাল বিকল্প কিছু হয় না। নারকেল তেল হল এমন একটি উপাদান, যা খুশকি, চুল পড়া, ডগা ফাটা সব ধরনের সমস্যাকে দূর করে দেয়। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত নারকেল তেল মেখে নিন। হালকা হাতে মালিশও করতে পারেন। এবার চুলে একটা শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। তারপর শ্যাম্পু করে নেবেন।
চুলের সমস্যায় কিন্তু মধুও দারুণ কার্যকরী। সপ্তাহে একবার করে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলে পুষ্টি পায়। এতে চুল মজবুত হয় এবং ডগা ফাটার সমস্যাও কমে যায়। চার টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে চার চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এতে এক চামচ নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেখে নিন। এটি স্ক্যাল্পে লাগাতেও পারেন, আবার শুধু চুলেও লাগাতে পারেন। হেয়ার মাস্ক লাগানোর পর এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
এছাড়াও একটি ডিমের সঙ্গে তিন চামচ আমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি হেয়ার মাস্কের মতো মাথায় লাগান। এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার হবে।
এসব কাজ করার সাথে প্রচুর পরিমানে জল পান করতে হবে। সাথে স্বাস্থ্যকর ফল শাকসবজি খেতে হবে। তবে কিন্তু চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন পার্মানেন্ট ভাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম