।। প্রথম কলকাতা ।।
আজকাল সোনার গয়না বিয়েবাড়িতে কেউ পরে না! কিন্তু ইমিটেশন গয়না পরলেই আপনার চুলকানি ও র্যাশ বের হয়? আবার অনেক সময় ফুসকুড়িও হয়। সোনার গয়না তো আর সব জায়গায় পড়া যায় না। তাহলে কি গোটা জীবনে সুন্দর সুন্দর ইমিটেশন গয়না পরাই হবে না আপনার? গয়নার অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যদি এই কাজগুলো আপনি করতে পারেন। বেশি দামি গয়না মানেই যে তার থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, সে কথা মনে করার কোনও কার ণনেই। আসলে সেই গয়নায় থাকা কেমিক্যালে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে।
ইমিটেশন কানের দুল বা হাতের চুরি কিংবা গলার হার পরলে সেই জায়গায় লাল হয়ে র্যাশ বের হয় একেবারে লাল হয়ে যায়। সে এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড।আপনি বিয়েবাড়িতে দুটো কথা বলবেন না গা চুলকোবেন! বলুনতো! হাতে অ্যালার্জি বেরোয় তাহলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় বরফ লাগান। বরফ লাগালে বা ঠাণ্ডা জল দিলে অনেক আরাম পাবেন। গরমে ঘেমে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কেননা ঘাম ও নিকেল মিলে তখন নিকেল লবণ তৈরি করে যা আরও অ্যালার্জি বাড়াতে পারে। তাই গরম লাগলে আরও সাবধান হন। যাঁদের এমন সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই নিকেল-মুক্ত গয়না বেছে নেওয়া উচিত। বলছেন বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু কোন গয়নায় নিকেল রয়েছে বুঝবেন কীভাবে?
গয়নায় নিকেলের উপস্থিতি সনাক্ত করতে বাজারে পাওয়া নিকেল টেস্ট কিটের সাহায্য নিতে পারেন। নিকেল ছাড়া অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি গহনা যেমন স্টেইনলেস স্টিল টাইটানিয়াম, সিলভারের গয়না পরুন। ইমিটেশনের গয়না পরলেও তা যেন হয় খুব অল্প সময়ের জন্য বাড়িতে এসেই খুলে ফেলুন। খুব আঁটোসাঁটো গয়না পরবেন না। গয়নার নিচে খানিকটা ট্যালকম পাউডার দিয়ে নিলে উপকার মেলে। কখনো অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধও খেয়ে নিতে পারেন। তবে তা করবেন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
যেকোন গয়না পরার আগে অবশ্যই গয়না পরীক্ষা ভালো ভাবে করে নেবেন। হাতে পরে আগে দেখে নেবেন কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তবে সেটা কিনবেন। ঠিক কী ধরনের অ্যালার্জি, আর কী থেকে সেই অ্যালার্জি হয়েছে সেটা বোঝা। তার পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশই্যই জরুরি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম