।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রতিশোধ নিতেই কি পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ? ইমরান খানের দল অ্যাকটিভ কী প্রচার করা হচ্ছে? কারা প্রটেকশন দিচ্ছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে? পাকিস্তানে ঢোকার আগেই বড় চাল নওয়াজের। ৪ বছর পর দেশে ফেরা বুমেরাং হবে না তো নওয়াজের? পাকিস্তানের থিঙ্ক ট্যাঙ্কেরা বলছেন পাকিস্তানের নির্বাচনের আগে যখন দেশে ফিরলেন নওয়াজ শরিফ তখন বুঝতে হবে এর নেপথ্যে যে বড়সড় কারণ রয়েছে সেটা কার্যত স্পষ্ট, কিন্তু সেই উদ্দেশ্যে ইমরান খানের দল কতটা সফল হতে দেবে সেটা নিয়ে রয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। কিন্তু পাকিস্তানের আদালত নওয়াজ শরিফকে নিয়ে কী বিধান দেবে? গ্রেফতারি না সাময়িক স্বস্তি?
ইমরান খান জেলে তাই পাকিস্তানের রাজনীতির ময়দানকে প্রতিদ্বন্দ্বীহীন ভাবলে কার্যত ভুল হবে এমনটাই বুঝিয়ে দিতে চাইছে ইমরান খানের দল। বিশ্লেষকেরা বলছেন নওয়াজ শরিফ ফেরার আগে থেকেই সব ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলেছেন পিএমএলএন। চার বছর পর নিজের দেশ পাকিস্তানে পা নওয়াজ শরিফের। বহু মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও অভিযুক্ত নওয়াজ শরিফ চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে গেলেও চার বছরেও ফিরে আসেননি কিন্তু এবারও দেশে ফিরে কার্যত স্বস্তিতেই থাকবেন তিনি। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর আইনি দল আশা করছে যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তানে পৌঁছনোর পরেই জেলে যেতে হবে না তার কারণ বৃহস্পতিবার শরিফকে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। অ্যাভেনফিল্ড এবং আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সুরক্ষামূলক জামিন দেওয়া হয়েছে।
ভারত চাঁদে পৌঁছে যাচ্ছে, পাকিস্তানের অবস্থান কোথায় দেশের বাইরে থাকাকালীনই এসব প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি দেশে ফিরেও যে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগীতার প্রসঙ্গই টানবেন তিনি সেটাই স্বাভাবিক। এদিকে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এক্স-এ ‘রিটার্ন অফ সার্টিফাইড থিফ’ হ্যাশট্যাগ চালানো শুরু করে দেয়। পোস্টটিতে দেখা গেছে যে জেলে বন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন শরিফ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে নির্বাচন হতে দেবেন না। ইমরান খান বলেছেন, ‘শরিফ বলবেন, আগে কোনওভাবে ইমরান খানকে সরিয়ে দিন যাতে খান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারে। দ্বিতীয়ত, শরিফ বলবেন তাঁর বিরুদ্ধে সব দুর্নীতির মামলা বন্ধ করুন। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই তাঁর তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী না হলে তাঁরা নির্বাচন হতে দেবেন না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি পিছোতে পারে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন?
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এর আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নওয়াজ শরিফের সমালোচনা করে বলেছিলেন একজন ব্যক্তির ফিরে আসার কারণে সংবিধান, নির্বাচন এবং গণতন্ত্র থেমে গেছে। ভুট্টোও পিএমএল-এনকে নিশানা করেছিলেন একটি জনসভার সময় বিলাওয়ালের বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল আমাদের অতীত মিত্রদের মেনে নিতে হবে যে ্নির্বাচন বিলম্বিত করা ‘ভোটের সম্মান’ করবে না বরং এটিকে অসম্মান করবে। এবার দেখার নওয়াজের পাকিস্তানে পা পাক রাজনীতির মোড় কোনদিকে ঘোরায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম