।। প্রথম কলকাতা ।।
Blue Oyster Mushroom: মাশরুম চাষ বর্তমানে ভারতের কৃষকদের জন্য বেশ লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও এই মাশরুম চাষের (Mushroom Farming) প্রচলন এই সময়ে দাঁড়িয়ে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মাশরুম একই জাতের হয় না বিভিন্ন জাতের মাশরুম চাষ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। কারণ বিভিন্ন জাতের মাশরুম থেকে লাভের পরিমাণ হয় ভিন্ন। কাজে কোন কৃষক একসাথে দু তিন রকমের মাশরুমও চাষ করে থাকেন। মূলত কৃষিভিত্তিক ব্যবসার জন্য চাষ করা হয় বোতাম মাশরুম, নীল ঝিনুক মাশরুম, দুধিয়া মাশরুম, সিটাকে মাশরুম এবং প্যাডিস্ট্রা মাশরুম। এগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম লাভজনক হল নীল ঝিনুক মাশরুম (Blue Oyster Mushroom)।
কীভাবে চাষ করা হয় নীল ঝিনুক মাশরুম ?
এই মাশরুমটি চাষ করার জন্য আলাদা কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করার প্রয়োজন পড়ে না। অন্যান্য মাশরুম যেভাবে চাষ করা হয়ে থাকে, কৃষকরা এই নীল ঝিনুক মাশরুমও একই রকম ভাবে চাষ করেন। একটি পলিথিন ব্যাগে খড় ভর্তি করে বপন করা হয় নীল ঝিনুক মাশরুম। গর্তের মধ্যে মুখ বন্ধ করে ফেলে রাখা হয় সেটিকে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয় যেন জায়গাটি সম্পূর্ণ অন্ধকার থাকে। কম করে ১৫ থেকে ১৭ দিন পর্যন্ত এইভাবে থাকার পর দেখা যায় প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ছোট ছোট মাশরুম। তাঁরা পরিণত হয়ে যায় ২৩ থেকে ২৪ দিনের মধ্যে।
কতটা লাভজনক ?
মাশরুম চাষ এমনিতেই কৃষকদের কাছে লাভজনক। তবে নির্দিষ্টভাবে এই নীল ঝিনুক মাশরুম বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে। যেহেতু এই মাশরুম চাষ করার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না, আর খাটনিও অনেক কম, সেই কারণে এই মাশরুম চাষে লাভবান (Profitable) হয়েছেন বহু কৃষক।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কি ?
অবশ্যই মাশরুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর এই বিশেষ জাতের মাশরুমটি উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো রোগকেও নির্মূল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই মাশরুমের মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইডেট, ফ্যাট, ফাইবার সবকিছুই থাকে। আর এই উপাদানগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী তা কমবেশি সকলেই জানেন। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য চিকিৎসকরা তরতাজা শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই টাটকা শাকসবজির মধ্যে থাকে মাশরুমও। মাশরুম খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি হয়ে থাকে। এই নীল ঝিনুক মাশরুমকে যেমন ইচ্ছে তেমন ভাবেই রান্না করে খাওয়া যায়। আসলে এই মাশরুমটি স্বাদে অত্যন্ত ভালো হয়। তাই যেকোনো ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করা যাবে এই মাশরুম দিয়ে। এছাড়াও একেবারে সাধারণ রান্নাও করা যাবে এই মাশরুমের সাহায্যে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম