।। প্রথম কলকাতা ।।
New World: মানুষের কাছে দ্বিতীয় পৃথিবী (Second World) হয়ে উঠতে পারে মঙ্গল (Mars) গ্রহ। যেখানে পৃথিবীর মতই গড়ে উঠবে কংক্রিটের বাড়ি। তৈরি হবে চার দেয়ালে ঘেরা মানুষের স্বপ্ন। ফলানো যাবে ফসল। এমনটাই আশা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে নাসা (NASA)। মঙ্গলেই নাকি তৈরি করা হবে আস্ত একটা শহর, তবে মঙ্গলের লাল মাটিতে মানুষের বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা একেবারেই সোজা ব্যাপার নয়।
মানুষের জন্য দ্বিতীয় পৃথিবী হিসেবে মঙ্গলকে গড়ে তুলতে নাসার গবেষণার শেষ নেই। মঙ্গলের লাল মাটিতে তৈরি হবে মানুষের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস। এই স্বপ্ন সত্যি কি হতে চলেছে? এক্ষেত্রে আশা রয়েছে নাসার গবেষণায়। ইতিমধ্যেই নাসার চার নভশ্চর প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে খুব শীঘ্রই মঙ্গলে পাড়ি দিতে চলেছেন। যাদেরকে মঙ্গলে পাঠানো হবে তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এই যাত্রা করবেন। আপাতত চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে স্পেস স্টেশন থেকে অন্তত ছয় মাস অন্তর একটি করে মহাকাশচারীর দল মঙ্গলে পাঠানো যায়। এক্ষেত্রে যে চার জনকে পাঠানো হচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় রসদের খুব একটা অভাব পড়বে না। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ফসল ফলানো হচ্ছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী নাসা চাইছে মঙ্গলের মাটিতেও চাষাবাদ করা হবে। চার নভশ্চর মঙ্গলের পরিস্থিতি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে সেখানে আদৌ বসবাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে গবেষণা করবেন। প্রয়োজনীয় বাসস্থান গড়ে তুলতে যা যা জিনিসের দরকার সবই যাবে পৃথিবী থেকে। ঘরের নকশা তৈরি করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তৈরি করা হবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। চলতি বছরের জুনে নাসার চার মহাকাশচারী পাড়ি দিতে চলেছেন মঙ্গলে। সেখানে বসেই তারা গবেষণা করবেন।
কিছুদিন আগেই এক চমৎকার কথা জানিয়েছিল নাসা, মঙ্গল গ্রহে নাকি বৃত্তাকার বালির টিলা পাওয়া গিয়েছে। সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে মহাকাশ চিত্রে। সেই টিলার ছবি তোলে নাসার মার্স রিককনাইসেন্স অরবিটার। প্রশ্ন থেকে যায়, মঙ্গলের জলবায়ু প্রকৃতি অনুযায়ী এই ধরনের বালির টিলা থাকা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত গবেষণা চলছে। এছাড়াও কয়েকদিন আগে মঙ্গল অভিযানে বড়সড় সাফল্য অর্জন করেছেন নাসা। মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টার উড়িয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বেশ কম। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হেলিকপ্টার ওড়ানো একেবারেই সহজ ব্যাপার নয়। প্রতি সেকেন্ডে হেলিকপ্টার প্রায় ৪.৬৫ মিটার গতিতে উড়েছিল। সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মঙ্গলের জীবন প্রমাণ খোঁজার জন্য নাসার তরফ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি মঙ্গলে একবার মানুষের বসবাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলা যায়। তাহলে এক কথায় কেল্লাফতে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম