।। প্রথম কলকাতা ।।
গ্রহাণু থেকে হীরে-জহরতের ভাণ্ডার তুলে আনছে নাসা? ৭ বছরের বেন্নু মিশন সাকসেসফুল? শেষ ১৩ মিনিটেই উল্টেপাল্টে যেতে পারে হিসেব, রিস্ক আছে। ‘ওসিরিস রেক্স’ কেন এই মিশন শুরু করেছিল? জানেন পৃথিবী তছনছ হতে পারে? বেন্নু ঘিরে মহাকাশবিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়ছে। একটা গ্রহাণু থেকে এতো খনিজ তুলে নিল নাসা? উদ্দেশ্য টা কী? ৭ বছর আগে নাসার মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’ কে পাঠানো হয়েছিল গ্রহাণুতে। ২০১৬ সালে মহাকাশে যাওয়ার পর থেকেই বেন্নু কে ঘিরে ছিল ওসিরিস-রেক্স।
আর এবার বেন্নু থেকেই ‘খনিজের ভাণ্ডার’ তুলে আনছে নাসা। পৃথিবীর সবথেকে কাছের একটি গ্রহাণু বেন্নু। ব্যাস ৫০০ মিটার। সবচেয়ে অবাক ব্যপার হল বেন্নু প্রতি ছ’বছরে একবার পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ে। পৃথিবীর একদম গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সেই গ্রহাণু চারদিকে চক্কর কেটে এতদিন ধরে তার হাল হকিকত বুঝেছে ওই মহাকাশযান। দফায় দফায় ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে! রুক্ষ, বন্ধুর, এবড়ো খেবড়ো বেন্নুর পিঠে গতিবেগ সামলে অবতরণ করা ছিল একপ্রকার অসম্ভব ব্যপার। অজানা গ্রহাণুর বুকে বিপদের সম্ভাবনাও ছিল মারাত্মক। মহাজাগতিক রশ্মি, ধূমকেতু, উল্কা প্রায়ই আছড়ে পড়ে বেন্নুতে। তাই সবমিলিয়ে চিন্তা একটা ছিলই। কিন্তু সেসব বিপদ কাটিয়ে নাসার মহাকাশযান অসাধ্য সাধন করেছে।
কিন্তু, কীসের সন্ধানে এই মিশন শুরু করেছিল নাসা? জেনে রাখুন আগামী ২১৭৫ থেকে ২১৯৬ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে বেন্নু। NASA-র মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় দেড়শ-পৌনে দু’শো বছর পর! আর এই বিরাট গ্রহাণু একবার আছড়ে পড়লে পৃথিবীতে তা দেড় হাজার মিটার গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে। কি হবে আন্দাজ আছে। তাই এই গ্রহাণুর উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীরা ওসিরিস রেক্স কে বেন্নুর কাছে পাঠিয়েছিল। ‘ওসিরিস-রেক্স’-এর টার্গেট সফল সাক্সেসফুল। ওই গ্রহাণু থেকে এক টুকরো পাথর তুলে নিয়েছে যানটি। এখন নয়, সালটা ছিল ২০২০। এবার পৃথিবীতে ফেরার পালা সেটা কতটা রিস্কের?
নাসার মতে, চূড়ান্ত টাচডাউনের সময় ১৩ মিনিট। এই ১৩ মিনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশযানটি প্রায় ২৭০০০ মাইল মানে ৪৩০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। সর্বোচ্চ ৫০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট মানে ২৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সফট ল্যান্ডিং সম্ভব আর মাটি ছোঁয়ার পরেই শুরু হবে আসল কাজ। মাটিতে অবতরণ করার পরে, একটা দল প্রথমে ওই মহাকাশযানের অবস্থা পরীক্ষা করবে। সেটিকে হেলিকপ্টারে তুলে একটি পরিষ্কার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরের দিন, নমুনাটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে পাথর ও ধুলোর টুকরো আলাদা করবেন বিজ্ঞানীরা। তারপরেই শুরু হবে পরীক্ষা নিরীক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম