।। প্রথম কলকাতা ।।
মালদ্বীপে মণি-মুক্তর হদিশ? ভারত- চীনের বড় লড়াই। মালদ্বীপের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্ল্যান বি ধরলেন মোদী? একটা ভোট জিতে নতুন প্রেসিডেন্ট চিনপন্থী মুইজ্জু। তাহলে কী, দুভাগে ভাগ হয়ে যাবে মালদ্বীপ? শি’এর মনোবাঞ্ছা পূরণ হলেই বিপদ। মালদ্বীপের হাওয়া বইছে কোনদিকে? পরিষ্কার হিসেব। ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রে থাকা মালদ্বীপে চীনের প্রভাব আটকানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মোদীর সামনে। রীতিমতো মহাযুদ্ধের আবহ।কিন্তু মালদ্বীপ ঘিরে ঘটছে টা কি?
বহুবছর ধরেই ভারত-চীন সমানতালে কূটনীতির জাল বিছোচ্ছে মালেতে। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং ভারত মহাসাগরের একেবারে কেন্দ্রে থাকা মালদ্বীপ ভূরাজনৈতিক দিকে থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মাঝে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে মালদ্বীপের অবস্থান কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভারতের প্রভাব বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লির দিক থেকে ভারত মহাসাগরের বিরাট গুরুত্ব। গ্রেটার মালে কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট। ভারতে মালদ্বীপের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ। কার্গো ভ্যাসেল সেবা মালেতে ভারতের একাধিক বড় প্রজেক্ট রানিং। সেক্ষেত্রে কিভাবে মালদ্বীপের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আশা মোদীর?মোদীর স্ট্রাটেজিতে পা রেখে নতুন প্রেসিডেন্ট চিনপন্থী মুইজ্জু ঝুঁকছে কী ভারতের দিকে? চান্স ৫০-৫০,
অলরেডি চিনপন্থী মুইজ্জুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।এ ক্স হ্যান্ডলে মোদি লিখেছেন, ‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য অভিনন্দন মহম্মদ মুইজ্জুকে। মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত রাখতে এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সার্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভারত এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ টোপ দিয়ে রেখেছে ভারত। দুদিন আগেও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সোলিহ, যে কিনা ভারতপন্থী বলেই পরিচিত। তাই তাঁর জমানায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে মালদ্বীপের। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আবদুল্লা ইয়ামিন। যার আমলে মালদ্বীপ ক্রমশ চীন ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ইয়ামিন সরকারের সময়ে মালদ্বীপ চীনের কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ পায়। আর দিল্লির সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
সুযোগ বুঝে চীনও চায় এই দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের প্রভাব খাটাতে-আধিপত্য বাড়াতে। এই পরিস্থিতিতে ভারতপন্থী মহম্মদ সলির হার আর চিনপন্থী মুইজ্জুর জয়ের পর দুদেশের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। তবে চীনপন্থী একটা ঝড় এবার মালদ্বীপে উঠেছে এটা ফ্যাক্ট। তার মধ্যে মুইজ্জুর দল শি’এর ড্রিম প্রজেক্ট বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো কর্মসূচি থেকে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিতে আগ্রহী। তাই, ইয়ামিনের মতো মুইজ্জুর চীনঘেঁষা নীতি থেকে মালদ্বীপকে বের করে আনতে নয়াদিল্লিকে নেক্সট কোন প্লানে হাঁটতে হয় সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম