।। প্রথম কলকাতা ।।
Nobel Peace Prize: ২০২৩ এ নোবেল শান্তি পুরস্কার কি পেতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কারণ ভারতে এসেছে নরওয়ের কমিটি, আর কমিটির বক্তব্যে বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জোরালো হয়েছে আশা। নোবেল পিস প্রাইজের (Nobel Peace Prize) জন্য নরেন্দ্র মোদীকে উপযুক্ত মনে করতে পারে নোবেল কমিটি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিত তে যেভাবে ভারত নিজের জায়গা ধরে রেখেছে এবং শান্তি বজায় রেখেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।
এবিপি নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি অ্যাশলে তোজে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়া, আমেরিকা ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, এখন যুদ্ধের নয় শান্তির সময়। আমি খুশি যে মোদী শুধু ভারতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই কাজ করছেন না। সেইসঙ্গে বিশেষ শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। গোটা বিশ্বের উচিৎ ভারতের থেকে এই শিক্ষা নেওয়া। আগামী দিনে ভারত আরও শক্তিধর হতে চলেছে”। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীর মতো শক্তিশালী নেতাদের মধ্যেই শান্তি স্থাপনের ক্ষমতা থাকে। নোবেল কমিটির ডেপুটির মুখে এহেন কথা শুনে নতুন আশা দেখছে ভারতবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে শান্তির নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন সেক্ষেত্রে জোরালো আশা তৈরি হয়েছে।
অ্যাশলে আরো জানিয়েছেন, তিনি নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছেন এবং দেখেছেন তাঁর মতো শক্তিশালী নেতার মধ্যে শান্তির প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী এমন একটি শক্তিশালী দেশের প্রধান যে দেশকে বিশ্বের দরবারে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা যায়। উপরন্তু ভারতবাসীর মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। গোটা বিশ্বজুড়ে যে যুদ্ধের দামামা চলছে সেই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এই বিশ্বাস।
নরওয়ে থেকে আসা নোবেল প্রাইজ কমিটির প্রতিনিধি দলের ডেপুটির কথায় আশা করা যায়, হয়ত ভারতীয়রা খুব দ্রুত একটি ভালো খবর পেতে চলেছেন। নোবেল কমিটি মূলত ভারতে এসেছিল নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পরিস্থিতি দেখতে। এক্ষেত্রে তারা বিপুল সংখ্যক ভারতীয়র মনোনয়ন পেয়েছে। নোবেল কমিটি চায়, বিশ্বের প্রতিটি নেতা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কাজ করুক। কমিটি ডেপুটির কথায়, নরেন্দ্র মোদী দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আবহে দুই দেশই ভারতকে সমীহ করে। এর আগে বারাক ওবামা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। মূলত নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে যুদ্ধের আবহে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা জন্য যারা কাজ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, গোটা বিশ্বজুড়ে তাদের মধ্যে থেকে একজনকেই এই পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম