।। প্রথম কলকাতা ।।
Boro Maa Naihati: নৈহাটির বড়মাকে শাড়ি দিয়ে পুজো দেন ভক্তরা এই এতো শাড়ি দিয়ে কী হয় জানেন? ভক্তদের সব ইচ্ছেপূরণ করেন বড়মা। প্রতিদিন মায়ের পায়ে যে শাড়ি জমা হয় সেগুলো মায়ের ইচ্ছেতেই মানুষের কাজে লাগে। এই শাড়িগুলো কোথায় যায়? কী করা হয়? মায়ের পুজোর ডালিতে পড়ে গোটা ফল এতো ফল পুজোর পর কী করে মন্দির কর্তৃপক্ষ? একদিনে কর্মযজ্ঞ নয়! বছর বছর ধরে এক নিয়ম মানা হয়ে আসছে বলা হয় নৈহাটির বড়মা সবার সত্যিই তাই! মায়ের পুজো থেকে কত মানুষের উপকার হচ্ছে দেখলে মন ভরে যাবে আপনার।
বেনারসী থেকে ঢাকাই জামদানী, তাঁতের শাড়ি আরও কতকী।ভক্তদের পছন্দের রঙের শাড়ি বড়মাকে পুজোয় অপর্ণ করেন। নতুন মূর্তিতে শাড়ি বদলানো হয় ঠিকই। কিন্তু যে বিশাল পরিমাণ শাড়ি পড়ে মন্দিরে। তা প্রয়োজন হয়না। তাহলে সেই সব শাড়ি কোথায় যায়? তা বলে তা ফেলে দেওয়া হয় না বা ফেলে রেখে নষ্ট হয় না। বড়মার বিশেষ বিশেষ পুজোর পরের দিন বস্ত্রদানের আয়োজন করা হয় মন্দির চত্বরে। গরিব দুঃস্থ মানুষরা আসেন মায়ের পুজোয় যেসব শাড়ি পড়ে তা নিয়ে যান অসহায়রা। লাইন করে সুষ্ঠুভাবে বস্ত্রদানের আয়োজন করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই শীতে যাঁদের এক কাপড়ে থাকতে হয় তাঁরা এই শাড়ি পরেই আরাম পাবেন বড়মা তাঁর সকল ভক্তকে এভাবেই আগলে রাখেন।
বড়মার কাছে কাটা ফল নয়। আস্ত ফল দিয়ে পুজো দেওয়া হয়। বিশেষ করে কালীপুজোর দিন মায়ের পুজোতে হাজার হাজার ফল পরে। সেই সব ফল আলাদা আলাদা করে ভাগ করা হয় লেবু আলাদা, আপেল আলাদা করে জমা করা হয় এক জায়গায়। এরপর তা পৌঁছে যায় নৈহাটির সরকারি হাসপাতালগুলোতে। রোগীদের হাতে হাতে সেই ফল তুলে দেওয়া হয়। মায়ের পুজোর ফল পেয়ে সুস্থ হয়ে যান অনেকেই। বিশ্বাস করেন অনেকেই।
নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন।প্রায় ১০০ বছর আগে, ভবেশ চক্রবর্তী ও তাঁর চার বন্ধু মিলে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে যান। সেখানে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে চোখ ওঠে কপালে। বিস্মিত হয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে নৈহাটিতে একটি রক্ষাকালী মূর্তিকে বিশালাকার মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কথিত আছে, এই পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন, তাই এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়। প্রথমে সকলে ভবেশ কালীই বলে ডাকতেন, তারপর বিশালাকার মূর্তিকে বড়মা বলে ডাকতে শুরু করেন।
নৈহাটিতে বড়মায়ের একটি স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুজো হচ্ছে। রোজ বিশাল লাইন পড়ে যান। শুমাত্র একটিবার বড়মাকে দেখার আশায় বসে থাকেন হাজার হাজার ভক্ত।দেবীর গায়ের গয়না থেকে ভোগ, পুজোর সামগ্রী,পুজোর সমস্ত খরচ করে থাকেন সাধারণ ভক্তরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম