।। প্রথম কলকাতা ।।
Boro Maa Naihati: ভক্তদের বিশ্বাস, ইনি সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন। এনাকে একবার দর্শন করলে কিংবা ভক্তি ভরে ডাকলে দূর হয় দূর হয় জীবনের সমস্ত সমস্যা। তাই তো বাধা-বিপত্তি কাটাতে দূর দূরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এনার চরণে আশ্রয় নেন। আবার অনেকেই দূরত্বের কারণে এনার কাছে আসতে পারেন না। পুজো দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। তবে আর চিন্তা নেই। ভক্তদের কথা ভেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ এক অনবদ্য আয়োজন করেছে। চাইলেই পুজো দিতে পারবেন অনলাইনে। বলা হচ্ছে নৈহাটির বড়মার মন্দিরের কথা।
কালী পুজোর পরেই আবার নৈহাটির বড়মার মন্দিরে হতে চলেছে বড়সড় উৎসব। মন্দির কমিটির আয়োজন করছে নারায়ণ পুজোর। আগামী রবিবার রয়েছে বিশেষ তিথি। পূর্ণিমার দিন নারায়ণ পুজোর পাশাপাশি আপনি চাইলে বড়মাকেও পুজো দিতে পারেন। যারা দূরদূরান্ত থেকে পৌঁছাতে পারবেন না, তাদের জন্য অনলাইনে পুজো পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। শুধুমাত্র মন্দির কমিটির দেওয়া নির্দিষ্ট নম্বরে আপনাকে পাঠাতে হবে নাম এবং গোত্র। অনলাইনেই আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে পুজো পাঠানোর পদ্ধতি।
সম্প্রতি এই মন্দির পদার্পণ করেছে ১০০ বছরে। নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মায়ের মন্দির। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেবীর কষ্টি পাথরের মূর্তি। মাকে সাজানো হয়েছে প্রায় একশ ভরি সোনার গয়না দিয়ে। প্রতিবছর কালী পুজোর সময় নৈহাটির অরবিন্দ রোডে ভক্তদের ভিড়ে গমগম করে মন্দির চত্বর। এছাড়াও সারা বছর ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কিন্তু কালীপুজোর মিটতে না মিটতেই আবার নতুন করে আমেজে সেজে উঠেছে মায়ের মন্দির। নারায়ণ পুজো উপলক্ষে ভক্তরা অনলাইনে পুজো পাঠাতে পারবেন। যদি ছাব্বিশে নভেম্বর বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে চান, তাহলে ‘বড়মা নৈহাটি নামক যে ফেসবুক পেজ রয়েছে সেখানে থেকে জেনে নিতে পারবেন পুজো পাঠানোর পদ্ধতি। শনিবারের মধ্যেই আপনাকে পুজো পাঠাতে হবে। তার জন্য নাম এবং গোত্র লিখে রাত দশটার মধ্যে পাঠাতে হবে ৮২৪০৮২০০০৩ নম্বরে।
উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম আকর্ষণ নৈহাটির বড়মা কালী মন্দির। শুধু দেশ নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও আসেন বহু ভক্ত। পুজোয় পাওয়া শাড়ি বিলি করা হয় দুস্থদের মধ্যে। মায়ের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা ফল বিতরণ করা হয় হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে। নৈহাটি স্টেশন থেকে ঠিক গঙ্গার জেটির ঘাটের দিকে যেতেই চোখে পড়বে এই মন্দির। বড় মায়ের মূর্তির উচ্চতা প্রায় ২১ ফুট। এখানে মা পূজিতা হন দক্ষিণাকালী রূপে। বিশেষ তিথি ছাড়াও সারা বছরই মায়ের নিত্য পুজো হয়। বিশেষ করে কালী পুজোর সময় ভোগ রান্না হয় পাঁচ হাজার কিলোরও বেশি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম