।। প্রথম কলকাতা ।।
মায়ানমার ছেড়ে জুন্টা সেফ প্যাসেজ চাইছে ভারতের। মিজোরামকেই কেন বেছে নিল মায়ানমার সেনা? জুন্টার পাপের ভয়ানক ফল মায়ানমারে। এবার বিদ্রোহীদের সরকার কোন পন্থায় একের পর এক শহর দখল করে নিচ্ছে বিদ্রোহীরা? জুন্টা ভারতে পা রাখতেই দিল্লি কী স্টেপ নিল? এ কি করুণ অবস্থা মায়ানমার মিলিটারির কোথায় পালাবেন এবার জুন্টা প্রধান মিন অং লাইয়িং? সেনাকে দেশ ছেড়ে নাকি পালিয়ে আসতে হচ্ছে ভারতে। অবশ্য অনেকেই বলছেন তারা যে ভাষায় কথা বলে সেই ভাষাতেই এবার জবাব দেওয়া হচ্ছে জুন্টাকে। মায়নামারে তাহলে কবে পতন হচ্ছে জুন্টা সরকারের? চীনের কড়া নজর সত্ত্বেও তারা হাতও লাগাতে পারছে না।
মায়ানমারের হাফডজন শহর, কয়েকশো গ্রাম এবং পুলিশ ও সেনার শতাধিক শিবিরের পর এ বার মায়ানমার ফৌজের একটি অস্ত্রাগারের দখল নিল বিদ্রোহী বাহিনী। শান প্রদেশের ওই অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের যৌথ বাহিনী অন্তত ছ’টি ট্যাঙ্ক এবং বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়িও তাদের দখলে এনেছে। আর বিদ্রোহী এই তান্ডব দেখে কার্যত ভারতের মিজোরামে পালিয়ে এসে আত্মসমর্পন করল জুন্টা সেনা। আর এই পরিস্থিতি আবারও ভারতের কাছে বেশ অ্যালার্মিং। কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত সরকার কিন্তু মিজরামকেই কেন ঢুকল জুন্টার সেনারা? মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমারের স্থলসীমান্ত প্রায় ৫১০ কিলোমিটার গত ৭ নভেম্বর বিধানসভার ভোটপর্ব মিটলেও এখনো ভোটগণনা হয়নি মিজোরামে এই পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আগমনে সেখানে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। মিজোরাম ছাড়াও উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুরের সাথেও মিয়ানমারের স্থলসীমান্ত রয়েছে।
গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী যদি এইভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে শুরু করে ২০২৪ সালে নির্বাচনের আগে তা ভারত সরকারের কাছে মোটেই তেমন সুখকর অভিজ্ঞতা হবে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে ইতিমধ্যেই নাকি হাজরপাঁচেক শরণার্থী মিজোরামে ঢুকে পড়েছেন। দিল্লির আশঙ্কা মায়ানমার থেকে শরণার্থী স্রোত আছড়ে পড়তে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশেও। দেখুন জুন্টা যখন ক্ষমতার অহংকারে আকাশে বিচরণ করছে তখন মায়ামারের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিগত কয়েক বছরের চেষ্টায় সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলো ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গঠন করে ফেলেছে আর এখন এরাই জুন্টাকে হটিয়ে সেখানে প্যারালাল গভর্নমেন্ট চালাতে শুরু করেছে বলে খবর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পাল্টা হামলা তো দূর, এখন তারা ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে ঢুকে যাচ্ছেন ৪৫ জন মায়ানমার সেনাসদস্য জোকাওথান সীমান্ত চেকপোস্ট পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয় আসাম রাইফেলস। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল মায়ানমার সেনাবাহিনী। তারপর আড়াই বছর ধরে তান্ডব অত্যাচার শাসন এর বদলা যে এতটা ভয়ানক হবে ভাবতেই পারেনি জুন্টা। এবার দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম