।। প্রথম কলকাতা ।।
মায়ানমারে জান্তা সরকার ক্ষমতা হারাচ্ছে নাকি? চীনের বাণিজ্যে বড় কোপ পড়েছে ভারতে হু হু করে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা কড়া স্টেপ নিল দিল্লি। এ কোন নতুন গৃহযুদ্ধের শুরু হয়ে গেল মায়ানমারে? চীন পাল্টা বদলা নিতে কোন চাল চালবে? ভারতকে কড়া নজর রাখতে হচ্ছে বিশেষ করে মণিপুরের এক একটা অশান্তি আর ভারতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা! তারপর ভারতের মাটিতে আরেকটা অশান্তির ব্লুপ্রিন্ট রেডি। মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ আর কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। চীন কীভাবে উস্কানি দিতে পারে এই গোটা ঘটনায়? মায়ানমার থেকে আসা কত শরণার্থী বর্তমানে রয়েছে ভারতে? মণিপুর নিয়ে নতুন কোনও অশান্তি চায় না ভারত। তাই তো মায়ানমারে উত্তেজনা শুরু হতেই কড়া অ্যাকশন নিল দিল্লি।
জান্তা সরকারকে নিয়ে ফের হলটা কী? আলজাজিরার তথ্য বলছে মায়ানমার সীমান্তে থাকা একটি শহরের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ কার্যত হারিয়ে ফেলেছে জান্তা সরকার। মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলে শান প্রদেশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিনশয়েহাউ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী নিজে। আর এই খবরটাই মেনে নিতে পারছে না বেজিং। নেপথ্য বড়সড় লসের আশঙ্কা রয়েছে। জানা যাচ্ছে এ অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে সশস্ত্র তিনটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত চলছিল তাদের। এর মাঝেই চীন একটা বড় ঘোষণাও করে ফেলেছে আর টাইমিংটা দেখুন ঠিক এই সময়ই মণিপুর থেকে বড় খবর! মণিপুরের মোরেহতে ৩২ জন মায়ানমার অভিবাসীকে গ্রেফতার করে। মণিপুর পুলিশের এসডিপিও’কে হত্যার পর মোরেহতে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানে প্রায় ৪৪ জন কুকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৩২ জন মায়ানমারের বাসিন্দা তারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে ঢুকে পড়ে বলে খবর।
প্রশ্ন উঠছে অশান্তির আঁচ পেয়েই কি ভারতে পালানোর চেষ্টা? ২০২১ সাল থেকে ৪০ হাজার কুকি শরণার্থী রয়েছে মিজোরামে। মণিপুরের সংখ্যাটা সরকারী খাতা কলমের হিসেবে ১২ হাজার। তবে চলতি বছরের মণিপুরে অশান্তি হওয়ার পর এনিয়ে রীতিমত সতর্ক ভারত সরকার। চীন কি কোনওভাবে ফের অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে? মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) আরাকান আর্মি (এএ) ও মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) জানিয়েছে চীনের সঙ্গে মায়ানমারকে যুক্ত করা বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও সামরিক ফাঁড়ি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল করেছে তারা। এতে চীনের কত বড় ক্ষতি জানেন? চীন ও মায়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যের বড় একটি অংশ হয়ে থাকে। চিনশয়েহাউ শহরের সীমান্ত দিয়ে গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সীমান্ত দিয়ে ১৮০ কোটি লারের বাণিজ্য হয়েছে বলে মায়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য জানিয়েছে জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম।
তাই এশহর জান্তার হাত থেকে চলে যাওয়া মানে চীনের ব্যবসায় বড়সড় কোপ। ঠিক সেজন্যই চলমান সংঘাতের মধ্যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন। বেজিংয়ের অনুরোধ সব পক্ষকে শিগগিরই অস্ত্রবিরতিতে যেতে এবং লড়াই বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে তারা। তবে পরিস্থিতি আগামীতে আরও বিগড়াতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভারতের তরফে। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও দিল্লি করা নজর রয়েছে মায়ানমার-ভারত সীমান্তের দিকে। যাতে এপরিস্থিতিতে কোনও ধরণের অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম