।। প্রথম কলকাতা ।।
Must Medical Test: সুস্থ শরীর কামনা করে সকলেই। কিন্তু একটা বয়সের পর বেশিরভাগ মানুষের শরীরেই বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। তখন ওষুধ আর চিকিৎসকই যেন হয়ে ওঠেন একমাত্র ভরসা। তাই বয়স বাড়লে আবশ্যিক হয়ে ওঠে কিছু মেডিক্যাল টেস্ট (Must Medical Test)।
মহিলা পুরুষ নির্বিশেষেই এই সমস্ত আবশ্যিক পরীক্ষা গুলো করানো দরকার। কারণ কিছু রোগ উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা দেয় তাই আগাম সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার
ব্লাড সুগার টেস্ট—
পরিবারে যদি কেউ সুগারের রোগী হন তাহলে তো অবশ্যই আর না হলেও ৩০ বছরের পর থেকেই সুগার টেস্ট করতে শুরু করা উচিত। ফাস্টিংয়ের রিপোর্ট ১০০ mg/dL-এর কম থাকলে চিন্তার কিছু নেই তবে লাগাতার রক্তে শর্করার মান বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন হাই ব্লাড সুগারের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। দেখা যায় কিডনির সমস্যাও।
ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
সুগারের সঙ্গে যে রোগ ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে তা হল হাই ক্রিয়েটিনিনের সমস্যা। যা নষ্ট করে দেয় আপনার কিডনির কার্যক্ষমতাকে। তাই মাঝেমধ্যে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট আবশ্যিক। ক্রিয়েটিনিন লেভেল ১-এর বেশি হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট
যদি আপনার হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকে লিপিড প্রোফাইল টেস্ট ভীষণ রকম ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, হাইডেনসিটি লিপোপ্রোটিন, এলডিএল ও এইচডিএলের পরিমাণ ১০০-র কম থাকা ভাল। অন্যদিকে HDL ৫০-৫৬ বা বেশির দিকে থাকলে চিন্তার কারণ তেমন ভাবে নেই।
থাইরয়েড টেস্ট
একটা বয়সের পর কিন্তু থাইরয়েড পরীক্ষাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কম কাজ করলে হাইপোথাইরয়েডের (Hypothyroid) সমস্যা হয় ও গ্ল্যান্ড বেশি কাজ করলে হয়ে থাকে হাইপারথাইরয়েড (Hyperthyroid)।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ম্যামোগ্রাফি এবং সেল্ফ টেস্ট
মহিলাদের মধ্যে ক্যানসার এখন ভীষণ ভাবে হয়। স্তন ক্যানসার মধ্যে অন্যতম তাই ম্যামোগ্রাফি টেস্ট এবং বাড়িতে সেল্ফ টেস্ট আবশ্যিক। স্তনে কিংবা বগলে বা হাতের নীচে কোন লাম্প থাকলে আবশ্যিক ভাবে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম