।। প্রথম কলকাতা ।।
Secret Town in Pakistan: পাকিস্তানের একটা শহরে মুসলিমদের এখনও নো এন্ট্রি। এই রহস্যময় শহরে মুসলিমরা পাও রাখতে পারেন না। কিন্তু কেন? এই শহর রয়েছে এমন অদ্ভুত নিয়ম। পাকিস্তানের এই শহর নাকি বড় রহস্যময়। কারা থাকেন এই শহরে? কোন সম্প্রদায়ের মানুষ? হিন্দু, শিখ, খ্রীস্টান নাকি মুসলিমদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার কারণটা আসলে অন্য?
পাকিস্তানের খুব কম নাগরিকই জানেন এমন শহর রয়েছে তাদের দেশে। মূল পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও ঝা চকচকে এই শহর কিন্তু কীভাবে? পাকিস্তানের চিনাব নদীর তীরে ‘রাবওয়াহ’ একটা সিটির নাম নামে, যাকে অন্যরা চিনাব নদীর সঙ্গে মিলিয়ে ‘চিনাবনগর’ বলে। চিনোট জেলায় অবস্থিত এ শহরটি সারা বিশ্বের কাদিয়ানি তীর্থ হিসেবে পরিচিত।।কাদিয়ান এ কোন নতুন সম্প্রদায়?
কাদিয়ানি মতবাদে বিশ্বাসীগণ রাবওয়াহ শহরকে পবিত্র বলেই বিশ্বাস করে। শহরের ৯৭ ভাগ অধিবাসীই কাদিয়ানি। বাকিরা অন্য ধর্মের অনুসারী, তবে সেখানে কোনো মুসলমান বসবাস করে না। এমনকি তাদের এই শহরে পা রাখাও নিষিদ্ধ। বিভিন্ন তথ্য বলছে, আহমদিয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীরা নিজেদের অন্য সকল মুসলমানের মতোই মুসলিম বলেই দাবি করেন। তারাই কাদিয়ান নামে পরিচিত অনেকের কাছেই। তবে সুন্নি মুসলিমদের অনেকে আহমদিয়াদের ‘অমুসলিম’ বলে মনে করেন। বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে তাদের লাখ লাখ সদস্য ছড়িয়ে থাকলেও আহমদিয়া মুসলিম জামাতের জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছাকাছি একটি গ্রাম – কাদিয়ানে। সেখান থেকেই এই ফিলোজপির জন্ম বলে অনেকে এই সম্প্রদায়ের লোকজনকে কাদিয়ানী বলেও বর্ণনা করে থাকেন। এই সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই বিরোধ রয়েছে, তবে পাকিস্তানের বুকে তারা নিজেদের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছে একটা শহর। এই শহরে ধনী থেকে গরিব সকলেই সমান। তাই এখানে সকলে সাইকেলেই যাতায়াত করেন।
কাদিয়ানি জামাত ১৯৪৮ সালে ভারত থেকে তাদের সদর দপ্তর পাকিস্তানে স্থানান্তর করে। সে সময় চিনাব নদীর তীরের ভূখণ্ড কিনে গড়ে তোলে নিজস্ব শহর। বর্তমানে এই চিনাব নগরে ৭০ হাজারের অধিক পরিবার বসবাস করে। রহস্যময় এ নগরীর জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উন্নত। এখানের প্রতিটি সড়কই পাকা ও উন্নত। সড়কের পাশে রয়েছে পরিকল্পিত ফুলের বাগান ও সবুজ উদ্যান। এখানে রয়েছে অলিম্পিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল, আধুনিক পাঠাগার, আন্তর্জাতিক মানের নিজস্ব ব্যাংকিং ব্যবস্থা, সর্বাধুনিক হাসপাতাল। এছাড়াও পাকিস্তানে থেকেও উল্টো পথে হেঁটে শহরের ৮৫ ভাগ নারী-পুরুষ শিক্ষিত। নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এ শহরের জীবনযাত্রার মান পশ্চিমা বিশ্বের যে কোনো শহরের সমমানের। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যা কল্পনাও করতে পারে নারাবওয়াহ শহরের বাসিন্দাদের সবাই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তবে শহর ছোট বলে ধনীরাও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সাইকেল ব্যবহার করে। শহরের প্রায় প্রতিটি স্থাপনায় কাদিয়ানি মতবাদের প্রবর্তক গোলাম আহমদ কাদিয়ানির ছবি রয়েছে।
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/717272697261997/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
এই শহরেই কাদিয়ানিদের আন্তর্জাতিক বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সারা বিশ্বের কাদিয়ানি ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের ধর্মীয় শিক্ষা ও দীক্ষা প্রদান করা হয়। সারা বিশ্বে কাদিয়ানি মতবাদ প্রচারের জন্য। এখানে ধর্মপ্রচারকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। নিজেদের মতো নিজেদের এই শহরকে গুছিয়ে নিয়েছে কাদিয়ানিরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম