।। প্রথম কলকাতা ।।
Ma Bargabhima Temple: এখানে ভক্তদের আবদার শোনেন মা কালী। গাছে সুতো বেঁধে যা চাইবেন তাই পাবেন! বর্গীরা মন্দির ধ্বংস করতে চেয়েও পারেনি। তন্ত্রমতে হয় মায়ের আরাধনা। ভোগে থাকে শোল মাছ। অতীতের সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেলেও স্বমহিমায় টিকে আছে মন্দির। এখানে মা বর্গভীমা ভীষণ জাগ্রত। কোথায় আছে এই মন্দির? কেনই বা মা বর্গভীমার উপর ভক্তদের এত ভরসা? লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য? তমলুক শহরে রয়েছে দেবী বর্গভীমার মন্দির। কালীপুজোর দিন মাকে সাজানো হয়েছে রাজ বেশে। পুজো করা হয় উগ্র তারা রূপে। তমলুকের মধ্যমণি মা বর্গভীমা।।বর্গভীমা মা অনেকের কাছেই ভীমরূপা বা ভৈরব কপালী নামে পরিচিত।
হাজার হাজার বছর আগের অনেক কিছুই ধ্বংসের মুখে, কিন্তু মা বর্গভীমার বিশাল মন্দিরে এক চুলও ক্ষতি হয়নি। এই এলাকায় যে কোনো শক্তিপুজোর আগে অনুমতি নিতে হয় দেবী বর্গভীমার কাছ থেকে। মন্দিরের গর্ভগৃহে রয়েছে কালো পাথরের মায়ের মূর্তি। এখানেই নাকি পড়েছিল দেবী সতীর বাম পায়ের গোড়ালি। এটি ৫১ সতী পীঠের অন্যতম মন্দির। এই মন্দিরের বয়স ঠিক কত, তা বলা মুশকিল। কথিত আছে, দেবী ধর্ম, অর্থ, কাম আর মোক্ষ এই চারটি বর্গ দান করেন বলেই দেবীর নাম বর্গভীমা। কালীপুজোয় মন্দির চত্বরে গা গলানোর জায়গা থাকে না। শোল মাছের ঝোল মায়ের নিত্য দিনের ভোগ। আবার কোনো কোনো ভক্ত মায়ের জন্য নিয়ে আসেন তাল, কচু, ওল। ভিন্ন ধর্মের মানুষও এই মন্দিরে ভিড় জমান।
মন্দিরের পাশেই আছে একটা পুকুর। এই পুকুরে ডুব দিয়ে ভক্তরা হাতে যা পান, তাই পাশে থাকা গাছে বেঁধে দেন। মাকে জানাতে হয় মনের ইচ্ছা। শুধু অলৌকিক নয়, ঐতিহাসিক দিক থেকেও এই মন্দির ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শোনা যায়, মেদিনীপুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউ দেখা দিয়েছিল। তখন তমলুকের এই মন্দিরে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। এখানে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুও আসতেন। মন্দিরে সকাল সন্ধ্যা মাকে দর্শন করতে পারবেন। এখানে ভক্তি ভরে পুজো দিলে মা আপনাকে খালি হাতে ফেরাবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম