।। প্রথম কলকাতা ।।
Weather Update: জলে ভাসছে হাওড়া! বৃষ্টির সাথে ডিভিসির ছাড়া জলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে চলেছে? বাঁধ উপচে উদয়নারায়ণপুরে হু হু করে ঢুকছে জল। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যাচ্ছে আরেকটু বৃষ্টি হলেই এবার কি পার্শ্ববর্তী কলকাতা ডুববে? বৃষ্টি আর কতদিন চলবে! কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর? ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় বন্যার আশঙ্কা কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলায়। আমতা এবং উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। দফায় দফায় বৃষ্টিতে মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ এবং দামোদরের জলস্তর বাড়ছে।
কোথাও ভেসে যাচ্ছে বাড়ি কোথাও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে। কিন্তু হাওড়ার পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ এবং দামোদরের জলস্তর বাড়ছে তার মধ্যে মঙ্গলবার সকালেই ডিভিসি থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে নদীর ধারে বেশ কিছু নিচু কৃষিজমি জলে ভেসে গিয়েছে। দামোদর নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় উদয়নারায়ণপুরের হরালি, দাসপুর, সীতাপুর, সুলতানপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকছে। উদয়নারায়ণপুরের কুরচি ও টোকাপাড়া এলাকায় দামোদরের বাঁধ উপছে জলমগ্ন প্রায় ৮ টি গ্রাম। উদয়নারায়ণপুর ডিহিভুরসুট রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল হাওড়ার ঠিক পার্শ্ববর্তী কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার কী পরিস্থিতি?
মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি যা বৃহস্পতিবার অবধি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীগুলোর জলস্তর এর ফলে কলকাতার নিচু এলাকা গুলো জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার থেকে দফায় দফায় ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে নদীতে জলের চাপ বেড়েছে, বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে নদীগুলি। এদিকে ডিভিসি টানা জল ছাড়তে থাকায় চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বিপদ বেড়েছে নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের। এর মধ্যে আবারও কি ভারী বৃষ্টি হতে পারে? কী বলছে হাওয়া অফিস?
এই মুহূর্তে ঝড় বৃষ্টির কমার সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণের বেশ কিছু জেলা যেমন উত্তর ২৪ পরগনা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা , নদিয়া , পূর্ব বর্ধমান , পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া ষ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। পরিস্থিতির দিকে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। আরো বৃষ্টি হলে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের কপালে বড় ভোগান্তি অপেক্ষা করছে। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে নিচু এলাকার মানুষদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম