।। প্রথম কলকাতা ।।
টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ আটে মরক্কো। চলতি বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও একটি অঘটনের সাক্ষী থাকল বিশ্ব ফুটবল। ১২০ মিনিট পর্যন্ত গোল না হওয়ায় খেলার নিষ্পত্তি ঘটল টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বাজিমাত করল আফ্রিকার দেশটি। ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাড়ি পাঠিয়ে ইতিহাস গড়ল মরক্কো। এর আগে গ্রুপ পর্যায়ে বেলজিয়ামকে বাড়ি পাঠিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউটে পা রেখেছিল আফ্রিকান দেশটি। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার তাঁরা শেষ ষোলোয় পা রাখে। সেইবার জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় মরক্কো।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে স্পেন। তবে প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে একটি মাত্র শট নিতে পারল ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ মরক্কোও। গ্রুপ পর্যায়ে জাপানের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হারের পর এদিন পাঁচটি পরিবর্তন করে স্পেন। তবুও মরক্কোর ডেডলক ভাঙতে পারল না গাভি-টোরেসরা। গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের ম্যাচ। দ্বিতীয়ার্ধে মোরাতা-উইলিয়ামস নামতেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াল স্পেনের। সুযোগও তৈরি করল তাঁরা। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পেল না প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিরতির পরও বল দখলে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখলেও, গোলের উদ্দেশ্যে একটিও শট রাখতে পারল না স্পেন। সুযোগ পেল মরক্কোও। কাজ লাগাতে ব্যর্থ হল আফ্রিকার দেশটি। গোলশূন্য থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে মরক্কো রক্ষণে আক্রমণের ঢেউ তুললো স্পেন। একের পর এক আক্রমণে বিধ্বস্ত করল তাঁরা। কিন্তু মরক্কোর জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারল না তাঁরা। অবশেষে ম্যাচের নিষ্পত্তি গেল টাইব্রেকারে। চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় টাইব্রেকার ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় পেল মরক্কো। সেই সঙ্গে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাল আফ্রিকার দেশটি। টাইব্রেকারে একটি শটও গোলে রাখতে পারল না স্পেন। প্রথমে সারাবিয়ার শট বারে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর কার্লোস সোলের ও সের্জিও বুস্কেটসের শট রুখে দেয় মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু। অন্যদিকে মাত্র একটি শট গোলে রাখতে ব্যর্থ হয় মরক্কো। তবে হাকিম জিয়াশ ও আশরাফ হাকিমি বল জালে পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল মরক্কো। তাও এবার প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে। এর চেয়ে বড় দিন মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসে কোনদিন আসেনি।