।। প্রথম কলকাতা ।।
Fuchka Business: চাকরির আশায় এখন হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ অনেকেই। তাই শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা এখন ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন। এমন কোন বড়সড় ব্যবসা নয় কিন্তু। ছোটখাটো ব্যবসা দিয়েই মাসের শেষে হাতে আসতে পারে বেশ খানিকটা মোটা অঙ্কের টাকা। তার মধ্যে অন্যতম হল লোভনীয় ফুচকার ব্যবসা। এই ফুচকা বিক্রি এমন একটি ব্যবসা যেটা কাস্টমারহীনতায় খুব একটা ভোগে না। আর এই ব্যবসা করে মাসে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করা যেতে পারে। কী ভাবে? এই প্রশ্নেরই উত্তর পাবেন আজকের প্রতিবেদনে।
১) সকলের প্রিয় ফুচকা
আপনি যখন কোন ছোট ব্যবসা শুরু করবেন তখন নিশ্চয়ই উদ্দেশ্য থাকবে যে কীভাবে সেটিকে অনেক বেশি মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। তাই এমন কোন জিনিস যেটা ৮ থেকে ৮০ যেকোনো বয়সী মানুষের কাছে পছন্দের সেটা নিয়ে ব্যবসা করা কিন্তু দারুণ অপশন। তাই ফুচকার ব্যবসা খুব একটা লসের হয় না। আর এই ব্যবসার বিশেষত্ব হল, যেখানে এর চাহিদা বেশি সেখানে আপনি অন্যান্য দোকানের তুলনায় দু চারটে বেশি ফুচকা দিলে এমনিতেই গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে দোকানে।
২) ব্যবসার মূলধন
ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় হোক পুঁজি হাতে না থাকলে ব্যবসায় নামা বোকামি। কিন্তু আপনি যদি এই ব্যবসা করতে চান তাহলে খুব বেশি হলে আপনাকে পুঁজি হিসেবে হাতে রাখতে হবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। তবে যদি আপনি ফুচকা তৈরি করারই ব্যবসা করতে চান সে ক্ষেত্রে বাজেট আরেকটু বাড়াতে হবে। কারণ ফুচকা তৈরি করার মেশিনের দাম বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। তাতে যদিও ইনকামের পরিমাণ আরও বেশি।
৩) যেভাবে করা যায় এই ব্যবসা
ফুচকা ব্যবসা কিন্তু শুধুমাত্র ফুচকা বিক্রি করাকে বোঝায় না। তিন ভাবে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকতে পারেন আপনি। প্রথমত, নিজের বাড়িতে নিজেই ফুচকা বানিয়ে তা বিক্রি করা। দ্বিতীয়ত, মেশিনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে ফুচকা বানিয়ে বিভিন্ন ফুচকার দোকানে পাইকারি হারে সেগুলি সাপ্লাই দেওয়া। আর তৃতীয়ত, বিভিন্ন অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের ব্যবসাকে অন্য মাত্রা দেওয়া। এই তিন ভাবেই ফুচকা কিন্তু ভীষণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। মানুষের কাছে।
৪) আয়ের পরিমান
এই ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট বলতে ফুচকা তৈরি করার সামগ্রী, বিভিন্ন মশলা, একটা কাচের বাক্স আর সামান্য বাসনপত্র। এই অল্প কিছু উপকরণে কিন্তু একটা ফুচকার স্টল দাঁড় করানো যায়। আপনি যদি নিজের দোকানে প্রথম কয়েকদিন আশেপাশের অন্যান্য ফুচকার দোকানগুলি থেকে কম দামে বেশি ফুচকা দিতে পারেন তাহলে এমনিতেই গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে। ধরুন, অন্য দোকান যেখানে দশ টাকায় পাঁচটা ফুচকা দিচ্ছে আপনি সেখানে দশ টাকায় সাতটি ফুচকা দিয়ে শুরু করুন। এইভাবে যখন দোকানে গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে তখন ফুচকার পাশাপাশি অন্যান্য মুখরোচক আইটেম রাখতে থাকুন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে মাসে ফুচকা বিক্রি করেই স্বাচ্ছন্দ্যে দিনযাপন করা যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম