।। প্রথম কলকাতা ।।
Weather Update: সাত দিন দেরিতে কেরলে ঢুকল বর্ষা। বাংলায় কবে বর্ষণ শুরু? অসহ্য গরমে এমনিতেই রাতের ঘুমের দফারফা। গত ২৫ বছরে জুন মাসে কোনও রাতেই এত গরম সইতে হয়নি কলকাতাকে। এরাজ্যে কবে প্রবেশ করছে মৌসুমী বায়ু? অপেক্ষার প্রহর গুনছে কলকাতাও ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ঘনাচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কোন কোন রাজ্যে সতর্কতা? অবশেষে কেরলে এল বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের থেকে ৭ দিন দেরিতে কেরলে বর্ষা ঢুকেছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে বাঁকুড়া-বীরভূম বা যোধপুরের মতো মরুশহরকে পিছনে ফেলে বুধবার জুনের উষ্ণতম রাত কাটিয়েছে কলকাতা। অবশেষে একটু স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া দপ্তর।
গত ৫ জুন মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছিল ২-৩ দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে যাবে কেরলে। দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাবেই বর্ষা আসবে। সেই কথা সত্যিই করে অবশেষে বর্ষা ঢুকে পড়ল দক্ষিণের রাজ্যে। চাতক পাখির মতো বৃষ্টি চাইছে বাংলার মানুষ। এরাজ্যে কবে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু? কী জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ তারিখে সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশের সম্ভাবনা আছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা প্রবেশ করবে, সে বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে কিছু জানানো হয়নি। কেরলে বর্ষার দেরির জন্য বঙ্গেও বর্ষার দেরি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বর্ষা শুরু হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের প্রতীক্ষার প্রহর আরও লম্বা বলেও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা। রবিবার থেকে হাওয়া বদলাতে পারে। শুরু হতে পারে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি।
এদিকে বিপর্যয় ঘুর্নিঝড় আসছে। দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে ধেয়ে আসবে বিপর্যয় এর অভিমুখ হবে গোয়া উপকূলের দিকে বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে এই সাইক্লোন বিপর্যয়। এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, গত তিন ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এখন এর অবস্থান পূর্ব মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে মৌসম ভবন মনে করছে, গোয়া, গুজরাট, কর্নাটক উপকূলে প্রভাব ফেলতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগর তোলপাড় করেছিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। সমুদ্রের মধ্যেই সুপার সাইক্লোন হয়ে শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়ে মায়ানমারের উপর। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আগে আগাম সর্তকতা হিসাবে ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বলেছে। এখন এই ঘূর্ণিঝড় কত বড় তাণ্ডব চালায়, সেটা সময় বলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম