।। প্রথম কলকাতা ।।
মোদীর ব্যালেন্স পলিসিই জিতিয়ে দিল ভারতকা। “যুদ্ধের সময় নয়” বলেও, সেফ গার্ড রাশিয়াকে। সময় ভালো পুতিনের, গোসা করলেন জেলেনেস্কি? পাল্লা ভারী আমেরিকার। সবকূল বজায় রাখতে কার দিকে কতটা ঝুঁকলো ভারত? হাতে হাত মিলিয়ে একতার জোর বোঝালেন মোদী। দিল্লির জি২০ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে ধন্য ধন্য চলছে। নাই বা এলেন পুতিন – শি। ভারত মণ্ডপমের জি ২০ রোখে কে? ‘এক পথিবী’ ‘এক পরিবারে’র জন্য ‘এক ভবিষ্যত’ গড়ার লক্ষ্যে একমত হলো সব সদস্য দেশ।পারলো ভারত। মন্ত্র একটাই “এখন যুদ্ধের সময় নয়”।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে মোদীর পুরনো মন্তব্যই একটু অন্য ভাবে প্রতিফলিত হলো জি২০-র ঘোষণাপত্রে। এখানেও ব্যালেন্স করলো ভারত। যেমন রাশিয়ার ‘আগ্রাসন’ নিয়ে যেমন ঘোষণাপত্রে কিছু বলা হয়নি, তেমনই জি৭ গোষ্ঠীগুলোর দাবি মেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও নিন্দা প্রস্তাবও আনা হয়নি। তবে যৌথ ঘোষণায় ইউক্রেনে শান্তি চেয়েছেন সকলেই। আর এতেই গোসা করলেন জেলেনেস্কি। রাশিয়ার নাম না করে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বিরোধী বিবৃতি পছন্দ হয়নি ইউক্রেনের। কিয়েভের কটাক্ষ, গর্ব করার মতো কিছুই হয়নি দিল্লিতে।কিন্তু, ভারতের এই স্ট্যান্ড পয়েন্টে খুশি হয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, এই সামিটের যৌথ ঘোষণাপত্রে ‘ভারসাম্যের প্রতিফলন’ই দেখা গিয়েছে।
কূটনৈতিক মহলের মতেও আয়োজক দেশ হিসাবে নিজের ভারসাম্যের কূটনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে ভারত। নিজের জায়গায় অনড় থেকেছে দেশটা। তবে শুধু রাশিয়া নয়, আমেরিকার হাতে হাত রেখেও জি২০ তে একের পর এক সাক্সেস এর মুখ দেখেছে ভারত। অথচ মোদীর ব্যালেন্স নীতি এতটাই স্ট্রং, যে আমেরিকা এবং পশ্চিমি দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও ছিন্ন করেনি। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমি দেশগুলি অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়ে গেলেও মস্কোর থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা চালিয়ে গেছে নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে ভারত আগাগোড়াই আলোচনার মাধ্যমে রুশ-ইউক্রেন সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে। অন্যদিকে, জি২০ সামিটে ওই আমেরিকাই ভারতের কাছের বন্ধু হয়ে পার্টিসিপেট করলো।
জি২০ তেই ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত একটি অর্থনৈতিক করিডর তৈরির মউ স্বাক্ষরিত হল। যা, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর পাল্টা চাল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে এক পথে হেঁটেছে। পশ্চিমি দুনিয়ার প্রায় সব দেশই এই অর্থনৈতিক করিডর তৈরির প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। বৈঠক শুরুর আগে থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতের একাধিক সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আমেরিকার হাতযশ দেখছেন অনেকেই। মানে আমেরিকাকেও সাথে রেখেছে ভারত চীনকে সবক শেখাতে, নয়া মেরুকৃত বিশ্বে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক তো বটেই, অন্যান্য ক্ষেত্রেও বোঝাপড়া বাড়াচ্ছে ভারত। তাই কূটনৈতিক মহলের মতে, টেক্সট এন্ড
সবদিক রক্ষায় ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করেছে ভারত
ফলে জি২০’র ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সুস্থায়ী, ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়নের বিষয়ে এক মত হতে পেরেছে সদস্য দেশগুলো। ঐক্যের ফুল ফোটাতে ‘সফল’ হয়েছে ভারত। মোদীর এই ভারসাম্যের কূটনীতি রীতিমতো উদাহরণ তৈরি করেছে নয়াদিল্লির জি২০ শীর্ষ সম্মেলন তারই ইঙ্গিত দিল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম