।। প্রথম কলকাতা ।।
নরেন্দ্র মোদীর গোপন বৈঠক শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। বালিতে কী ঘটে গিয়েছিল ৮ মাস আগে? তারপরই তাওয়াংয়ে রীতিমত পিএলএ উৎপাত হয়। LAC না অরুনাচল? মুখোমুখি দুই রাষ্ট্রনেতার নরম গরম কথাবার্তা। ডোভালের হুঁশিয়ারির পর দানা বাঁধছে রহস্য। ২০২২ নভেম্বর নমো কি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভারতের অবস্থান? শিয়ের পাল্টা প্রতিক্রিয়া কী ছিল? অরূনাচল নিয়ে কী সেজন্যই স্টেপলড ভিসার মতো নোংরা খেলা খেলল বেজিং। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যা ঘটে গিয়েছিল সেটা এতদিন পর কেন প্রকাশ্যে আনা হল বড় প্রশ্ন থাকছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, ২০২২ জি২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনের রাষ্ট্রপতির সাক্ষাত হয়। কূটনৈতিক মহলের প্রশ্ন তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে সেটার তা তথ্য প্রকাশ্যে আসছে সেটা কি সম্পূর্ণ তথ্য। নাকি বর্তমান বিদেশনীতিকে মাথায় রেখে আপাতত পুরো তথ্য প্রকাশ্যে আনছে না দিল্লি? মনে রাখতে হবে নভেম্বরে এই সাক্ষাতের পরই কিন্তু অরূনাচলের তাওয়াং ভ্যালি পিএলএ আর্মি ঢুকতে চাওয়ার খবর আসে। ভারতীয় আর্মির সেই অ্যাকশন রুখে দেয়। মোদীর ওয়ার্নিংএর বদলা কী সেভাবেই নিয়েছিল চীন? অজিত ডোভাল ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর জোহানবার্গে মিটিংয়ের পরই কেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক এমন তথ্য সামনে আনল খটকা এখানেই।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গত বছর বালিতে G20 সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নৈশভোজের শেষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতাই সীমান্ত সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এ তো গেল অফিশিয়াল বিবৃতি৷ আসল সত্যিটা কী? কূটনৈতিক মহলের দাবি, যে পরিস্থিতি একটি নৈশভোজের অনুষ্ঠানে। মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী ও জিনপিং। সেখানে ফর্মাল কথা ছাড়া খুব বেশি কিছু আলোচনা মঞ্চ সেটা ছিল না। স্বাভাবিকভাবে দুপক্ষই যে সৌজন্য রক্ষার থেকে বেশি কিছুই করবেন না তা একপ্রকার স্পষ্ট।
এর মধ্যে একটাই ইতিবাচক দিক যে দুই নেতাই সীমান্ত সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু আদতে কী কথা হয়েছে এ নিয়ে সেটা জানা যায়নি। সদ্য অজিত ডোভাল দক্ষিণ আফ্রিকার এক সামিটে চীনকে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন সীমান্ত সংঘাত দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে এবং তিনি কার্যত চিনের বিদেশমন্ত্রীকে মুখের ওপর জবাব দিয়ে বলেছেন সীমান্তের পরিস্থিতি চিনের প্রতি ভারতের ‘আস্থায় ক্ষয় ধরিয়েছে’। তবে মোদী- জিনপিং সাক্ষাতের প্রভাব আগামীতে কী পড়তে চলেছে সেটা বোঝা যাবে আর কটা দিন ধৈর্য ধরলেই৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম