।। প্রথম কলকাতা ।।
তুরস্ক মোদীর এক গেমেই এবার সায়েস্তা এরদোগান ৪০ বছর পর ঝটকা খাবেন দিল্লির থেকে। পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে সাপোর্ট করার আগে দুবার ভাবতে হবে তুর্কীকে। মোদী যেখানে যাবেন সেটা তুরস্কের কাল। তুরস্কের ভূমিকম্পে ভারতের অপারেশন দোস্তের পরো ভারতকে কূটনৈতিক স্তরে ঘা দিতে দুবার ভাবেনি এরদোগানের তুরস্ক। কিন্তু ভরসা রাখুন এবার তুর্কিকে সত্যি ভাবাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ এবার খেলা হবে অন্য লেভেলে। তুরস্কের সবথেকে বড় শত্রু চাইছে মোদীর সঙ্গে হাত মেলাতে।
ব্রিকসের সম্মেলেনের পরই তুর্কি ভারতকে সরাসরি হুমকিও দিতে পারে বা পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্ষতি করারও চেষ্টা হতেই পারে। তথ্য বলছে ৪০টা বছর পর এবার ভারত তুরস্কের বিরুদ্ধে স্টেপ নেবে। কারণ সাউথ আফ্রিকায় ব্রিকসের মিটিং শেষ হলেই গ্রীসে যাবেন নরেন্দ্র মোদী। আর গ্রীস ও তুরস্ক একে অপরের বড় শত্রু। ১৯৮৩ সালে ইন্দিরা গান্ধী গ্রীসে গিয়েছিলেন। তারপর সেই দেশে যাত্রা করবেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু হঠাৎ নমোর এই গ্রীস সফর কেন? রাষ্ট্রপুঞ্জে বারবার পাকিস্তানকে সমর্থন করে কাশ্মীর ইস্যু তোলা ও কাশ্মীরকে নিয়ে ভারতকে বেকাদায় ফেলার এরদোগানের লাগাতার চেষ্টা। কূটনৈতিক মহল বলছে জবাব তো কোথাও দিতেই হত ভারতকে? কিন্তু নমোর গ্রীস সফরের শুধু এই একটা কারণই তো হতে পারে না।
ইকোনমিকস টাইমসের এই রিপোর্ট বলছে ভুমধ্যসাগরীয় এলাকায় নিজেদের ছাপ রাখতেই গ্রীসের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজির সম্পর্ক বাড়াতে চাইছে ভারত, তবে এক্ষেত্রে গ্রীস অনেক বেশি দিল্লির সম্পর্ক মজবুত করার পক্ষে আগ্রহী। ভারতের কথাতেই গ্রীস ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যলায়েন্সে যোগ দিয়েছিল। এছাড়াও কাশ্মীর নিয়েও লাগাতার দিল্লিকে সমর্থন। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের ভারতের স্থায়ী পদের দাবিতেও কন্টিনিউ দিল্লির হয়েই আওয়াজ তুলেছে গ্রীস। ২০২১ সালে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গেছিলেন গ্রীসে, তবে এবার নরেন্দ্র মোদীর সফর রীতিমত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তুরস্ক। ভারতের গ্রীসের সঙ্গে ডিফেন্সে এমন কোনো চুক্তি করে বসবে না তো যা এরদোগান স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। টেনশন বাড়ছে তুরস্কেরকে। ভারত বলছে ভয় পাওয়াটা জরুরী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম