।। প্রথম কলকাতা ।।
মায়ানমার উত্তেজনার মাঝে মণিপুরে বড় অ্যাকশন মোদী সরকারের। মণিপুরে মেইতেইদের ব্যান করে দেওয়া হল। কোন অশান্তির আভাস পেতেই এত বড় স্টেপ? মেইতেই কারা? কেন এদের সংগঠনকে ব্যান করা হল? মায়ানমার থেকে যে কোনও মূহুর্তে অশান্তি ছড়িয়ে যেতে পারে মণিপুরে। পরিস্থিতি বিগড়ানোর আগেই চরম অ্যাকশন নিল ভারত সরকার। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হবে না তো? মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের কথা অনেকেই জানেন হয়ত। যারা জানেন না তাদের বলে রাখি মণিপুরে জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশই মেইতেই সম্প্রদায় কিন্তু এদের সঙ্গে মায়ানমারের সম্পর্ক কী? সম্প্রতি মণিপুর যেভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল যার আঁচ এখনও পুরোপুরি নিভে গেছে এটা বলা চলে না। তার নেপথ্যেই ছিল কুকি-মেতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষ। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হিংসার। আগুনে ঘি ঢালছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। এমনকি ভারত ভাঙার ছক কষছে তারা। এমনটাই একাধিক রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আর ঠিক পরিস্থিতিতেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। মণিপুরে ৯টি মেইতেই জঙ্গি দলকে। ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
মেইতেই সম্প্রদায়ের বাস মায়ানমারেও রয়েছে। সেখান থেকে বহু শরণার্থী ভারতে এসে এখন ভারতেরই নাগরিক। তবে এমন নয় যে সকলেই মায়ানমার থেকে এসেছেন। তবে শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। মেইতেইদের ইম্ফল ঘাঁটিতেই মূলত বসবাস। এছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়েও এদের বড় সংখ্যক মানুষ বাস করে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারেও এরা রয়েছে বহুল পরিমাণে। মণিপুরে এদের বেশিরভাগ হিন্দু ধর্মের পালন করে। তবে ৮ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বি। মায়ানমারে জুন্টা সরকার এখন কার্যত কোনঠাসা। সেখানকার তিন বিদ্রোহী সংগঠনের হামলার মুখে পড়ে। মায়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে এতটাই আশঙ্কাজনক যে তথ্য বলছে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। তাই এই সুযোগ ভারতে থাকা মেইতেই চরমপন্থী সংগঠনগুলো যাতে কোনওভাবে না তুলতে পারে তার জন্যই সতর্ক ভারত।
জানা গিয়েছে ইউএপিএ ধারায় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ও এর রাজনৈতিক শাখা, রেভেল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্ট (আরপিএফ) মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) দ্য রেড আর্মি-সহ আরও ৪টি মেইতেই চরমপন্থী দলকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে কার্যত এদের প্রভাব অনেকটাই কমবে। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই দলগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। এরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা, বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়িয়ে দিতে কাজ করে। এই দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে এই সংগঠনগুলো ভারত থেকে মণিপুরকে বিচ্ছিন্ন করে। স্বাধীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই চালায় উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়ানোর চেষ্টা করে। এবার দেখার সরকারের এই কড়া স্টেপ কতটা কাজ দেয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম