।। প্রথম কলকাতা।।
Bengali Serial TRP: বৃহস্পতিবার মানেই ধারাবাহিকগুলির ফলাফল প্রকাশের দিন। আর এই ফলাফল জানার অপেক্ষায় থাকেন সকল দর্শক। কোন মেগা প্রথম স্থান দখল করল? আর কে বেরিয়ে গেল প্রথম ১০ থেকে? তা জানতে মুখিয়ে থাকেন দর্শকবৃন্দ। চলে এসেছে গত সপ্তাহের মার্কশিট। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ‘জগদ্ধাত্রী’ আর ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের মধ্যে।
চলতি সপ্তাহের টিআরপি চার্টেও শীর্ষে রয়েছে জি বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিক, পেয়েছে ৮.২ নম্বর। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে ৭.৭ নম্বর নিয়ে রয়েছে অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিক। তবে নম্বর কমে গিয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের। যেখানে সম্প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিআরপি চার্টের তিন-চার নম্বরে দেখা গিয়েছিল ধারাবাহিককে, সেখানে চলতি সপ্তাহে তা নেমে গিয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। পেয়েছে ৬.৭ নম্বর।
এক ঝলকে দেখুন প্রথম দশে কোন ধারাবাহিক-
- ১. জগদ্ধাত্রী (৮.২)
- ২. অনুরাগের ছোঁয়া (৭.৭)
- ৩. আলতা ফড়িং (৭.৪)
- ৪. ধুলোকণা, খেলনা বাড়ি, গাঁটছড়া (৭.১)
- ৫. গৌরী এলো (৬.৯)
- ৬. নিম ফুলের মধু (৬.৭)
- ৭. মিঠাই, এক্কা দোক্কা (৬.৬)
- ৮. সাহেবের চিঠি, লক্ষ্মী কাকীমা সুপারস্টার (৬.৪)
- ৯. মাধবীলতা (৬.৩)
- ১০. নবাব নন্দিনী (৫.৬)
‘আজ তাক বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিআরপির লড়াইয়ে চতুর্থ স্থানে তিনটি ধারাবাহিক, ‘ধুলোকণা’, ‘গাঁটছড়া’, ‘খেলনা বাড়ি’। এদিক থেকে বেড়েছে ‘গাঁটছড়া’র নম্বর। গত সপ্তাহের টিআরপি চার্টে এই ধারাবাহিক ছিল ষষ্ঠ স্থানে। অন্যদিকে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক। সৌমিতৃষা আর আদৃতের জুটি রয়েছে ৭ নম্বরে। মিঠাইয়ের নতুন ট্র্যাক বেশ মনে ধরেছে দর্শকদের। সেইসঙ্গে মিঠাইয়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সকলের মধ্যে। এদিকে একবারে নিচে নেমে এসেছে ‘নবাব নন্দিনী’। তবে ধারাবাহিকে জগদ্ধাত্রীর বিয়ে নিয়ে টানটান পর্ব সকলকে ধারাবাহিকের সঙ্গে জুড়ে রেখেছে। যে কারণে এবারেও টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে এই সিরিয়াল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘আলতা ফড়িং‘।
তবে অন্যদিকে চতুর্থ স্থানে থেকেও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্টার জলসার এই ধারাবাহিক। ‘ধূলকণা’ বন্ধ হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর ধারাবাহিকের শেষ এপিসোডের সম্প্রচার। সেক্ষেত্রে অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, TRP চার্টে ভালো স্থান ধরে রাখা সত্ত্বেও কেন বন্ধ হচ্ছে এই ধারাবাহিক? ‘টিভি নাইন বাংলা’র পক্ষ থেকে প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ করা হয়। লেখিকা জানিয়েছেন, ‘একটা গল্প শেষ না হলে তো অন্য আরেকটা গল্প শুরু হতে পারে না। ‘ধূলোকণা’র যেখানে শেষ হওয়ার কথা সেখানেই শেষ হচ্ছে। এই গল্পের আর কিছু অবশিষ্ট নেই’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম