।। প্রথম কলকাতা ।।
কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে বড় খবর! আবার কোনও অ্যাটাক। কেন জঙ্গিরা বারবার পুলওয়ামাকেই টার্গেট করে? এমন কি আছে এই এলাকায়? ঠিক কত জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর মিলছে? ২০১৯ সালে যে পুলওয়ামায় ৪০ট তাজা প্রাণ শহিদ হয়েছিল সেই পুলওয়ামাকে আসলে বলা হয় আনন্দ অব কাশ্মীর। কিন্তু সেখান থেকেই খবর আসছে বড়সড় এনকাউন্টারের। দিওয়ালির আবহের মধ্যেই ঘটতে পারে কোনও অঘটন? বারবার পাকিস্তানের টার্গেট পুলওয়ামাই কেন হয়?জম্মু ও কাশ্মীরে চলছে জঙ্গিদমন অভিযান। শনিবার দুপুর থেকে সেই পুলওয়ামা জেলার পারিগাম এলাকায় শুরু হয় এনকাউন্টার। কোনও বড় জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর মিলছে নাকি?পুলওয়ামার ঘন জঙ্গলে ঢাকা এলাকাতেই কি জঙ্গিদের ডেরা।
পুলওয়ামার ভুগোল নিয়ে যারা খুঁটিনাটি সবটাই জানেন। তারা বলছেন উপত্যকার এই জেলাতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকাটা বেশ সহজ। এর পাশে ঘন জঙ্গল আর তার থেকে বড় সুবিধা। এই ম্যাপ দেখলে বুঝবেন লাইন অব কন্ট্রোলের অনেকটাই কাছে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলা। কাশ্মীরের বাকি জেলার মতই এখানেও স্থানীয়দের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করে। তাদের বাড়িতেই জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়ার বহু খবর আগেও সামনে এসেছে। এলওসি থেকে তাই কোনওমতে অনুপ্রবেশ করে এই জেলায় গা ঢাকা দেওয়াটা খুব কঠিন নয়। পুলওয়ামা এলাকায় এবার জঙ্গিদের গতিবিধির খবর ছিল ভারতীয় সেনার কাছে। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় অভিযান। সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী সেখানে পৌঁছতেই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা যায় গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রেখেছে যৌথ বাহিনী। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি শীতের আগে এই অনুপ্রবেশই বাড়তে থাকে। কারণ শীত পড়ার পর চরম পরিমাণে তুষারপাত শুরু হয়ে যায় পুলওয়ামা ও তার সংলগ্ন এলাকায়।
বুদগাম-পুঞ্চ, শ্রীনগর দিয়ে ঘেরা পুলওয়ামায় মোট ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। আর তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মানুষের ধর্মই ইসলাম। হিন্দুদের সংখ্যা এই এলাকায় ৫ শতাংশেরও কম কিন্তু জানেন কি এসব সত্ত্বেও পুলওয়ামা কাশ্মীরের এমন এক জেলা যার ভূমিকা কাশ্মীরের অর্থনীতিতে মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৯ তৈরি হয়েছিল কাশ্মীরের জেলা পনবনগম। সেখান থেকে নাম বদলে পুলগাম তারপর পুলওয়ামা। এই জেলাকে বলা হয় রাইস বোল অব কাশ্মীর। কারণ এখানে উপত্যকার সবথেকে বেশি চাল উৎপাদন হয়। শুধু তাই নয় সবথেকে বেশি দুধ পাওয়া যায় এই পুলওয়ামায়। কাশ্মীরের সবথেকে ভালো কোয়ালিটির কেশরও মেলে এই জেলাতেই।
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এই জেলার নিরাপত্তা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। উরির চেয়েও ভয়াবহ জঙ্গি হানা হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়েছিল। দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তার আগের দিনই পুলওয়ামার স্কুলে বিস্ফোরণে আহত হয়েছিল ১০ ছাত্র। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের জঙ্গি হামলা হয় ভূস্বর্গে। তবে ভারত ও ছাড়েনি নিয়েছিল তার বদলা। পুলওয়ামায় হামলার ১২ দিন পর আকাশপথে প্রত্যাঘাত হানে ভারত। ২১ মিনিটের নিখুঁত অপারেশন। ১৯৭১-এর পর প্রথমবার পাকিস্তানে ঢুকে পাকিস্তানকে জবাব দেয় নয়াদিল্লি। জইশ-ই -মহম্মদের কন্ট্রোল রুম উড়িয়ে দেয়। বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ যুদ্ধবিমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম