।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Michaung: সাগরে ফুঁসছে মিগজাউম। রেড অ্যালার্টে চলে গেল গোটা ভারত? কোন কোন রাজ্য ভাসবে বন্যায়? মিগজাউমের টার্নিং পয়েন্টেই বাংলার বিপদ? ওয়েদার আপডেটে বড়সড় বদল। রাজ্য সহ দেশ জুড়ে একের পর এক ট্রেন বাতিল। মিগজাউম মোকাবেলায় এতো প্রস্তুতি? লাস্ট মোমেন্টে রিস্ক বাড়বে না তো বাংলাদেশের? একদম কনফার্ম। বাংলাদেশ নয়, ভারতে আছড়ে পড়বে মিগজাউম ফুঁসছে সাগর। বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। যা ৫ই ডিসেম্বর অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন।ল্যান্ডফলের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস মিলতেই ৩-৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ মধ্য রেল ১৪৪টি ট্রেন বাতিল করেছে। তালিকায় আছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল, দুরন্ত এক্সপ্রেস। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বাংলাতেও। হাওড়া, শালিমার, সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ছাড়া ট্রেন যে রুট দিয়ে যায়, সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই হাওড়া, শালিমার এবং সাঁতরাগাছি থেকে ১৮টি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যাওয়া একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। ল্যান্ডফলের পরেই চাপ কমবে না ভারতের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে অন্ধ্রে ল্যান্ডফলের পরই বাঁক নেবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। আর এই টার্নিং পয়েন্টেই রিস্ক বাড়ছে।
৬ ও ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে। এই পূর্বাভাসেই বাংলার চাষীদের মাথায় হাত। পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে। মাটি ভিজলে পিছিয়ে যেতে পারে আলুচাষও। আপাতত ঠান্ডার বালাই নেই, তাতেই আলু চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। বাংলা ছাড়াও ভারতের অন্যান্য জায়গাতেও মিগজাউমের এফেক্ট পড়বে ভালো মতো। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী। উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তার পর বৃষ্টির পরিমাণ কমবে, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ফেলতে পারে ওড়িশাতেও। সেখানেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যেও দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা। যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছেন, তাদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা পুদুচেরিতে। আগাম সতর্কতা হিসেবে কারাইকাল এবং ইয়ানাম অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেল তামিলনাড়ুগামী ১১৮টি বাতিল ঘোষণা করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম-কেও। তামিলনাড়ুর কয়েকটি জায়গায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতাও।তাহলে কি এযাত্রায় পুরোপুরি সেফ বাংলাদেশ? ওপার বাংলাতেও সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি যেতে বারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঝড়টা বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে মিগজাউম স্থলভাগে ওঠার পরে ৬-৭ ডিসেম্বর মূলত বাংলাদেশ এর উপকূলীয় এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। এই মেঘ-বৃষ্টিতে মোটামুটি ঠান্ডার দফারফা। ভারতের মৌসম ভবন বলছে, আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে তাপমাত্রা। ৯ ডিসেম্বর থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে তাপমাত্রা কমার আশা করা হচ্ছে। তবে আপাতত ভারত বাংলাদেশ এর নজর মিগজাউমের সামগ্রিক গতিবিধির উপরেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম