।। প্রথম কলকাতা ।।
Weather Update: ধেয়ে আসছে মিধিলি, তোলপাড় হবে সাগর। ভাইফোঁটায় তুমুল দুর্যোগের কাঁটা বাংলায়? লাগাতার ঝড় বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? আপনিও কি রেড অ্যালার্টে আছেন? টেনশন বাড়াচ্ছে আইএমডি’র ওয়েদার অ্যালার্ট। সামনের ৭২ ঘন্টা কতটা রিস্ক ফ্যাক্টর? বাংলা জুড়ে নিম্নচাপের এফেক্ট। বঙ্গোপসাগরে একটা বড় সিস্টেম তৈরি হতে যাচ্ছে। ভাইফোঁটায় তুমুল ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস।কি বলছে রিপোর্ট? ফুঁসবে সাগর, তাই আগেভাগেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইএমডি। ভাইফোঁটার আগের দিন থেকেই শুরু আবহাওয়ার ভয়ংকর খেলা? মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়া বদলে যাবে। আংশিক মেঘলা আকাশ, বুধবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যের উপকূলে।
বৃষ্টির চান্স দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরেও। বৃহস্পতি ও শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে ইতঃস্তত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায়। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলোতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতি শুক্রবারে। মানে ভাইফোঁটার দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বাংলার বুকে। উৎসবের মাঝেই দুর্যোগের ভ্রুকুটি। কেন? হঠাৎ কী ঘটলো? সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আশঙ্কা টেনশন বাড়াচ্ছে। আইএমডি-র ওয়েদার অ্যালার্ট বলছে, উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ১৪ নভেম্বর থেকে নিম্নচাপ ক্ষেত্র তৈরি হবে। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই নিম্নচাপ ক্ষেত্রটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় এই নিম্নচাপক্ষেত্রটি তৈরি হবে।
১৪ নভেম্বর থেকে আন্দামান এবং তার সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫-৫০ কিমি গতিতে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে। ১৬ তারিখ থেকে উত্তর ও উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এই হাওয়ার প্রভাব পড়বে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকাতেও। সেই এফেক্টই পড়বে এই রাজ্যে। তাছাড়া নিম্নচাপটা প্রথমে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের অভিমুখে এগোবে। তারপর গতি পরিবর্তন করে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে আসতে পারে। এর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ তৈরি হলেও কোন দিকে যাবে, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে যে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে তার এফেক্ট উত্তরবঙ্গে তেমন পড়বে না, তাই সেখানকার আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলেই জানাচ্ছেন আহাওয়াবিদরা। এর সঙ্গে জানার কৌতূহল বাড়ছে জাঁকিয়ে শীত কবে পড়বে? বিগত কয়েকদিন ধরে ভোরের দিকে বা রাতের দিকে হালকা ঠান্ডার অনুভূতি পেতে শুরু করেছিলেন সাধারণ মানুষ। কারও কারও গায়ে হালকা গরম পোশাকও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তারই মাঝে নতুন করে বৃষ্টি পূর্বাভাস থাকায় শীতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই এখনই শৈত্য প্রবাহে বা জাঁকিয়ে শীত পড়ার মতো ঘটনাও বাংলার বুকে ঘটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম