।। প্রথম কলকাতা ।।
Michigan Natural Gas Price: চলতি বছর শীতে মিশিগানে বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম (Natural Gas Price)। এর ফলে মিশিগানবাসী এবারে তাদের থার্মোস্ট্যাটগুলি খুলতে পারবেন কি না তা নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এভাবেই আকাশছোঁয়া। এবার সেই দাম আরও খানিকটা বেড়েছে।
মিশিগান ডিপার্টমেন্ট অফ লাইসেন্সিং এবং রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, রাজ্যের দুটি প্রধান প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী ডিটিই এনার্জি কোম্পানি এবং কনজিউমারস এনার্জি কোম্পানি, এই দুইয়ের গ্রাহকদেরকেই এই শীতের মরশুমে আগের তুলনায় অনেক বেশি টাকার বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে। এই মূল্য বৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৮% বেশি।
এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে চলতি নভেম্বর থেকে আগামী বছর মার্চ অবধি গ্রাহকদের এভাবেই চড়া দামে বিল পরিশোধ করতে হবে। উল্লেখ্য এই বর্ধিত মূল্যে বিল যা এক বছর আগেও কিনা ছিল প্রায় ১৩৩ ডলারের কাছাকাছি তা এখন বেড়ে ১৪৮ ডলার!
যদিও গ্রাহকরা চাইলে বিকল্প গ্যাস পরিষেবাও ব্যবহার করতে পারেন। এই বিষয়ে উল্লেখ্য ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। আগামী বছরও একই ধরনের বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, মিশিগানের মানুষ জন এই প্রবল শীতে তাদের বাড়ি গরম করতে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপরই নির্ভর করেন। ২০১৯ সালের হিসাবে, মিশিগানের ৭৬% পরিবার প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, ৮% প্রোপেন ব্যবহার করেছে এবং ১% গরম তেল ব্যবহার করেছে। তবে এবার যেন পরিস্থিতিটা একেবারেই অন্যরকম।
যদিও বিকল্প পরিষেবা নেওয়ার সুবিধা আছে মানুষের কাছে কিন্তু সেক্ষেত্রে দামগুলি সাধারণত DTE-এর থেকে বেশি। আবার এই গ্যাস মূলত মিশ্রিতও। তাই এই ক্ষেত্রে দামগুলি নির্ধারণ করার জন্য অনেকগুলি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চুক্তির প্রয়োজন৷
এই বছর প্রোপেনের দাম নিয়েও চিন্তা বাড়ছে কারণ ২৪ অক্টোবর নাগাদ, একজন গ্রাহকের জন্য এক গ্যালন প্রোপেনের দাম ছিল ২,৪৯৭ ডলার, যা গত বছর ছিল ২,৪৬৪ ডলার অর্থাৎ সামান্য হলেও বেশি। তবে স্বস্তির বিষয় এটাই যে ২৪ অক্টোবর তেলের দাম ছিল ৪,৭৪৫ ডলার প্রতি গ্যালন, যা ২০২১ সালে ছিল প্রতি গ্যালন ৩,১৮৬ ডলার।
এই শীতে প্রতি ১০ লাখ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম গড়ে ৬.০৯ ডলার হবে, যা ২০০৯-১০ সালের শীতের পর থেকে সর্বোচ্চ বলে জানা যাচ্ছে।
তবে স্বস্তির বিষয় এটাই যে আশা করা যাচ্ছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কারণ অভ্যন্তরীণ ব্যবহার এবং রপ্তানির তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম