।। প্রথম কলকাতা ।।
শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল মেসির আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন লিওনেল মেসি। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে টপকে গেলেন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাকে। আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি আসে জুলিয়ান আলভারেজের পা থেকে। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র গোলটি করেন গুডউইন।
কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে কিছুটা ছন্নছাড়াভাবে শুরু করলেও, শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য দেখাল আর্জেন্টিনা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এলেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ক্যারিয়ারে হাজারতম ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন লিও। ২১ ম্যাচে ৮ গোল করেছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। ২৩ ম্যাচে ৯ গোল করলেন মেসি। প্রথমার্ধে মার্তিনেজের সেইভাবে পরীক্ষাই নিতে পারল না অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করল ক্যাঙ্গারুদের দেশ। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তাঁরা। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার ব্যবধান বাড়ান জুলিয়ান আলভারেজ। এরপরই মেসির পায়ের জাদু দেখল বিশ্ব ফুটবল। দৃষ্টিনন্দন ডজে একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঢুকলেন অস্ট্রেলিয়ার বক্সে ঢুকেও গোল এলোনা। তবে ঢুলুঢুলু চোখে টিভির দিকে চেয়ে থাকা মানুষকে জাগিয়ে দিয়ে গেলেন। মাঠে উপস্থিত সমর্থকরা অবশ্য মেসিকে অভিবাদন জানাতে ভোলেননি। মেসি তো এমনই জাদুকর। যেকোন মুহূর্তে ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন। প্রতিপক্ষ দল সেটা ভালো মতোই জানেন। ৭৭ মিনিটে ক্রেগ গুডউইনের জোরালো শট এনজো ফার্নান্দেজের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়িয়ে যায়। ব্যবধান কমায় অস্ট্রেলিয়া। এর কিছুক্ষণ পর দুটি ভালো সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। দুই দলই শেষ মুহূর্তে সুযোগ গড়ে তুললেও গোল আসেনি।